খাদি বা খদ্দর আমাদের অতি প্রাচীন বস্ত্র। তুলা থেকে সুতা হওযার পর বাড়তি অংশ দিয়ে চরকায় সুতা কেটে তাঁতে বুনন কাপড়কে খাদি বলা হয়।
৫০০০ (পাঁচ হাজার) বছর পূর্বে বর্ইদ্দিক ও তিব্বত সম্বতায় হাতে কাটা সুতা ও হাতে বুননো কাপড়ের সন্ধান পাওয়া যায়। রামায়ন ও মহাভারতেও সুক্ষ খাদির কথা উল্লেখ রয়েছে।
খাদির সাথে স্বদেশি আন্দোলনের সরাসরি সম্পর্ক যুক্ত। মহাত্মা গান্ধী খাদির কাপড় পরেছেন সব সময়। ১৯১৯ সালে প্রতিষ্টিত হয় খাদি সুতার এ্যাসেসিয়েশন। সেই সময় ব্রিটিশদের তৈরি কাপড় পুরিয়ে চরকায় তৈরি খাদি কাপড় পরার মাধ্যমে দেশি পণ্য ব্যবহারের আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন গান্ধী।
আমাদের দেশে কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে খাদি চরকায় খাদি সুতা কাটা ও বুননে শৈলেন গুহ ও ঝরনাধারার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী খাদিশিল্প বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়। খাদির পূর্ণ জাগরনে ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অফ বাংলাদেশ (এফ, ডি ,সি, বি) আগামী ১১ ও ১২ ডিসেম্বর হোটেল রেডিসনে খাদি প্রর্দশনী ও খাদি নির্ভর ফ্যাশন শোর আয়োজন করছে।
বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক বাংলানিউজকে বলেন, এই আয়োজনে বাংলাদেশের ১৮ জন ডিজাইনার ও ৬ জন কলকাতার ডিজাইনার অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশি ডিজাইনারদের মধ্যে রয়েছেন- মাহিন খান, কুহু, এমদাদ হক, চন্দনা দেওয়ান, লিপি খন্দকার, সৈবাল সাহা, বিল্পব সাহা, মুমু মারিয়া, হেমা, ফারা আনজুম বারি, সাবানা আলী, হুমায়ারা খান, শাহরুক অমিন, তেনজিং চাকমা, ওর্য়ানি, রাকা ফারাদিবা ও সামিয়া রফিক।
কলকাতা থেকে আসবেন ডিজাইনার সৌমিত্ত মন্ডল, শান্তনুদাশ, সংযুক্তা রায়, পারমিতা ব্যানার্জি, সায়ান্তন সরকার ও রিনি নায়ে।
বাংলাদেশি ডিজাইনারা ফোক মোটিভ যেমন কাগজ কাটা, নকশি পিঠা, সন্দেশ, হাতপাখা, শিতল পার্টি ও আলপোনা নকশা দিয়ে তৈরি খাদি পোশাক সবার সামনে তুলে ধরবেন।
প্রদশর্নী সবার জন্য উমুক্ত থাকবে।