শীতের এই সময়টাতে প্রায়ই আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। প্রতিদিন পার্লারে গিয়ে হয়তো তৈরি হতে পারি না।
ফারনাজ বলেন, সাজের আগে নিজের ত্বক প্রস্তুত করে নিন। এক টুকরো পাউরুটি, এক চামচ মধু, দুই চা চামচ দুধ, আধা চা চামচ কমলালেবুর রস মিশিয়ে মুখে, হাতে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। এই ১০ মিনিটেই চোখের পাতায় দিতে পারেন গাজর, শসা বা আলু কুচি। আপনার ত্বক, চোখ মুহূর্তেই ফিরে পাবে সজীবতা।
টিপটপ পার্টি
শীতে সাজের ক্ষেত্রে প্রথমেই ময়েশ্চারাইজার বেজড ফাউন্ডেশন মুখে, গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এর ওপরে কম্প্যাক্ট পাউডার দিন। হালকা গোলাপি বা পিচ ও ব্রোঞ্জ, বাদামি, কমলা বা একটু গাঢ় গোলাপি ব্লাশন ব্যবহার করতে পারেন। তবে যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, ব্লাশন যেন আপনার সাজের সঙ্গে মিশে যায়। ব্লাশন দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন, যেন তা বেশি গাঢ় হয়ে পুরো মুখে ছড়িয়ে না যায়। গালের হাড়ের ওপর ব্লাশন লাগাবেন।
পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চোখে গাঢ় রঙের শ্যাডো লাগিয়ে নিন। চোখের নিচে কাজল দিন। চোখের ওপরের পাতায় নীল, সবুজ, সোনালি বা রুপালি যেকোনো রঙের গ্লিটার আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। আইলাইনার দিয়ে মোটা করে লাইন টেনে নিন। একবার মাশকারা শুকিয়ে যাওয়ার পর আরো একবার মাশকারা লাগান।
রাতের সাজে ঠোঁট গাঢ় রঙের লাল, মেরুন, গোলাপি বা বাদামি রঙের অয়েলি লিপস্টিক বা লিপগ্লস লাগিয়ে নিন। পারলে লিপস্টিক চিকন তুলি দিয়ে লাগিয়ে নিন। ঠোঁটের শেপ অনেক শার্প লাগবে।
শাড়ি পরলে চুল আয়রন করে ছেড়ে রাখতে পারেন অথবা উঁচু করে খোঁপা করতে পারেন। ওয়েস্টার্ন পোশাক বা লম্বা গাউন টাইপের পোশাক পরলে সামনের অংশের চুল হালকা পাফ করে ফুলিয়ে পেছনে ক্লিপ আটকে বাকি চুল খোলা রাখতে পারেন। হাত-পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। নখে দিন পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নেইলপলিশ।
স্যুটের সঙ্গে প্যান্ট, ট্রাউজার্স, পালাজোও মানায়। আবার কনসেট পরলেও ভালো দেখাবে। স্যুটের নিচে পরতে পারেন লং স্কার্ট, কাফতান। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ বা স্যুটের সঙ্গে হিল আছে এমন জুতা পরতে হবে। স্টিলিটোও পরা যায়। আবার ওয়েজ হিলের জুতায়ও মন্দ লাগবে না। উঁচু হিলের মিউল স্যান্ডেলও সালোয়ার-কামিজ বা শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে যায় খুব সুন্দর।