ঘুমের মাধ্যমেই আমরা ফিরে পাই, কাজ করার উদ্যোম। তবে অনেক সময় ঘুম নিয়ে আমরা অবহেলা করি।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ঘুমের ক্ষেত্রে খুব বেশি অনিয়মে ভোগেন, তারা প্রায়ই আত্মহত্যা করার কথা ভাবেন। অর্থাৎ নিজেদের যে কোন ভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন।
গবেষকরা আরও দেখেছেন, ঘুমের অভাবে মানুষের বিচার বিবেচনা ও চিন্তাশক্তি লোপ পায় এবং হতাশা তৈরি হয়।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মার্সিন ওয়াজনার নেতৃত্বে তার সহকর্মীরা আমেরিকার ৫,৬৯২ জন নারী-পুরুষের মধ্যে ঘুম এবং আত্মহত্যার সম্পর্ক নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করেন।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের এক তৃতিয়াংশই পূর্বের বছরে ঘুম জনিত কমপক্ষে একটি সমস্যা থাকার কথা স্বীকার করেন।
ওয়াজনার বলেন, ঘুমের ক্ষেত্রে যাদের এক বা এর বেশি সমস্যা রয়েছে তারা অন্যদের চেয়ে ২.৬ গুণ বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে থাকেন।
তবে, মানসিক সমস্যা না থাকলেও একজন রোগী আত্মহত্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারেন৷ মানসিক ভারসাম্যহীন এবং উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি অনেক বেশি বলে গবেষকরা মনে করেন।
ওয়াজনার আরও বলেন,‘মানুষের ঘুমের সমস্যা বা অনিয়ম দূর করতে পারলে, আত্মহত্যার প্রবণতা কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে’৷
ঘুম না আসা অথবা রাতে বার বার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াসহ যত বেশি এ ধরনের সমস্যা হয়, ততোটাই আত্মহত্যা প্রবণতা বাড়তে থাকে। গবেষকরা দেখেছেন, বৈবাহিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার টানাপোড়েন থেকে অনেক সময় ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়। যা, পরবর্তীতে যা মানুষকে অত্মহত্যার দিকে টেনে নিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্বে ৮ লাখ৭৭ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে৷ আর একজন ব্যক্তি আত্মহত্যা করার আগে গড়ে ১০ থেকে ৪০ বার আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
বুঝতে পারছেন, শরীর এবং মন সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কত প্রয়োজন? ঘুমে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে, অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: ইন্টারনেট।