পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি বা বান্দবানের দিকে গেলে আমরা দেখতে পাই পাহাড়িদের জীবনযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে বাঁশ।
আমাদের জন্য বাঁশ আর বেতের ব্যবহার যদিও মূলত ঘরের কিছু ফার্নিচার আর শোপিসেই সীমাবদ্ধ।
এসব শোপিস আমাদের ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রুচি ও ঐতিহ্যও তুলে ধরে। শোপিসের মধ্যে রয়েছে ফুলদানি, টেবিল ল্যাম্প, ফলের ঝুড়ি, বাজারের ঝুড়ি, ড্রিংক বক্স, টিস্যু বক্স, ওয়ালম্যাট, চাঁদ, তারকা, নৌকাসহ নানা পণ্য।
ফার্নিচারের মধ্যে রয়েছে দোলনা, সোফা, চেয়ার, টেবিল, খাট, সেলফ। এগুলো টেকসই আর দামেও সাশ্রয়ী।
রাজধানীর পান্থপথ, রামপুরা, বনানীতে বেতের তৈরি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে।
এছাড়াও আড়ং, রঙসহ দেশের বড় ফ্যাশন হাউসগুলোতেও বাঁশ বেতের শোপিস পাওয়া যায়।
গুলশানের আড়ং এ বেতের শোপিস দেখছিলেন ফারজানা খান। তিনি বলেন এই শোপসিগুলো দেখতে অনেক সুন্দর, দামও সাধ্যের মধ্যে। আর বাচ্চাদের হাত থেকে পড়ে গেলেও ভাঙে না। এটি আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যও তুলে ধরে, এছাড়াও এই শোপিসগুলো তৈরি করেন দেশের সুবিধা বঞ্চিত নারীরা। তাদের আয়ের একটি পথ তৈরি হয়েছে। আমাদের সবার উচিৎ এসব পণ্য কিনে দরিদ্র নারীদের কাজের সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করা।
দোকানগুলোতে সোফা সেটের দাম ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু, খাটও ৮ থেকে ১২ হাজার টাকায় পাওয়া যায়। আর শোপিসগুলো ২০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
পান্থপথে একটি বেতের দোকানের কারিগর হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, তাদের সব ফার্নিচারের বাঁশ পার্বত্য এলাকার হলেও বেত ইন্দোনেশিয়া ও মায়ানমার থেকে আনা হয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের বেত অল্পদিন হলেই কেটে ফেলা হয় আর বাইরের বেতগুলোর বয়স দশ-পনের বছর হয় তাই পোকা ও ঘুন ধরেনা।
তবে সুন্দর সুন্দর সব শোপিসগুলো কিন্তু আমাদের দেশের চিকন ও হালকা বেত দিয়েই তৈরি হচ্ছে।
বন্ধুরা খুব সহজেই বসার বা শোয়ার ঘরে বাঁশ বা বেতের খাট, টেবিলল্যাম্প, ল্যাম্পশেড রাখতে পারি। অতিথি এলে বেতের ট্রেতে করে চা-নাস্তা পরিবেশন করতে পারেন।
আর এভাবেই ঘরে প্রতিটি কোনায় আমরা নিয়ে আসতে পারি শৈল্পিক ছোঁয়া।