ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

আলিগ্রু: দি সেকেন্ড হোম

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬
আলিগ্রু: দি সেকেন্ড হোম

যেখানে কোনো অতিথিকে গ্রাহক না, মনে করা হয় ‍আত্মীয়। 

নিজের বাড়ির প্রতি আমাদের সব সময়ই একটি টান থাকে। এটা বেশি বোঝা যায় যখন বেড়াতে বা কোনো কাজে ‍আমরা বাড়ির বাইরে থাকি।

প্রায় সবাই মিস করি প্রিয় ঘর-বিছানা...নিজের বাড়ির পরিবেশ আর আন্তরিকতা।  

কিন্তু কক্সবাজারে গিয়ে এটা আমাদের একদমই মনে হবে না। কারণ ওখানে রয়েছে সেকেন্ড হোম...হুম দ্বিতীয় বাড়ি। যেখানে কোনো অতিথিকে গ্রাহক না, মনে করা হয় ‍আত্মীয়।  

সেই রিসিপশন থেকে, না রিসিপশন নয়...গেট থেকেই আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর রিসিপশনে গিয়েও ‍দ্রুত সব কাজ সেরে মিষ্টি হেসে আপনাকে পৌঁছে দেবে ঘরে।  

দরজা খুললে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে আরো চমক, এটা তো কোনো হোটেল বা রিসোর্টের মতই নয়। একেবারে যেন নিজের বাড়ি। সোফা, ফ্রিজ-টিভি দিয়ে সাজানো ড্রইং রুমের সাথেই রয়েছে সুন্দর একটি কিচেন কর্নার। বেডরুমগুলোও সাজানো হয়ছে বাড়ির আদলে।  

বলছি, আলিগ্রু হলিডে স্যুটের কথা। কক্সবাজারের কলাতলীতে ২০১০ সাল থেকে 
অতিথিদের এভাবেই সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।  

আলিগ্রু হলিডে স্যুটের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মং মে নায়িং বাংলানিউজকে বলেন, অতিথিরাই আমাদের জন্য প্রচারের কাজ করেন। যারা এসেছেন, তারাই গিয়ে বন্ধুদের রেফার করেছেন আমাদের এখানে আসতে।  

এর পেছনে একটাই কারণ আমরা চেষ্টা করি অতিথিদের হোমলি ফিল দিতে। অতিথি এলে যেমন বাড়ির লোকেরা জানতে চায় তারা কি খেতে পছন্দ করেন, এটা আমরাও মেনটেন করি। অনেক সময় বাজারে যাওয়ার আগে অতিথির কাছে জানতে চাই তিনি আজ কোন মাছ খেতে চান। সেই অনুযায়ী টাটকা বাজার করে অতিথিরা চাইলে তাদের রান্নার সময়ও আমন্ত্রণ জানানো হয়।  

এতে করে অতিথিরা যেমন আনন্দ পান, আমরাও পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আরও সচেতন থাকি।  

এখানকার খাবারের সুনাম রয়েছে ইন হাউস অতিথি ছাড়াও পুরো এলাকা জুড়ে। তাইতো রাতে খাবারের সময় দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়।  
শাপলা পাতা আর কোড়াল মাছের বারবিকিউ, চিংড়ি বা বড় কাকড়া, তন্দুরি চিকেন অথবা ফ্রাইড রাইস-চিকেন ফ্রাই সবগুলোর স্বাদই মুগ্ধ করে অতিথিকে।  
স্বাদের সঙ্গে আরও যে বিষয়টি লক্ষ্য করা যায় তা হচ্ছে পরিবেশন। সবজি দিয়ে এতো সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়, দেখে কিছু সময়ের জন্য খাওয়ার ইচ্ছা কোথায় চলে যাবে বুঝতেই পারবেন না। সবাই ব্যস্ত ছবি নিতে।  

প্রতিটি খাবারের দাম রাখা হয়েছে সবার সাধ্যের মধ্যে।  

হোটেলটির বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে এসে আপনি উপভোগ করতে পারবেন স্নিগ্ধ সবুজ পাহাড়ের স্পর্শও, কারণ এই হোটেলের প্রায় প্রতিটি রুম থেকে আপনি স্নিগ্ধ সবুজ পাহাড় দেখতে পাবেন।

আলিগ্রু হলিডে স্যুট ২৫টি আধুনিক স্যুট নিয়ে ২০১০সালে যাত্রা শুরু করে, এতে আছে ২টি অত্যাধুনিক খাবার রেস্তোরাঁ, একটিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সকল খাবারের সুবিধা এবং অপরটিতে আছে বার-বি-কিউ ও নানা ধরনের কাবাব। পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকার জন্য হোটেলটির প্রতিটি স্যুট এ আছে ২টি করে শোবার ঘর এবং সুপরিসর বসার ঘর। কিছুটা সাশ্রয়ী বাজেটে আন্তর্জাতিক মানের সেবা পেতে সবারই প্রথম পছন্দ আলিগ্রু হলিডে স্যুট।  

যোগাযোগ: +8801713185422

লেখা-শাররমীনা ইসলাম(লাইফস্টাইল এডিটর) 
ছবি: সোহেল সরওয়ার(সিনিয়র ফটো  করেসপন্ডেন্ট) 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।