চা বাগান, চা শ্রমিকদের জীবন, দিগন্ত জোড়া বিল-হাওর বাওর, অতিথি পাখি, বিলের মাছ, লাউয়াছড়া বন, বনের হরিণ- হনুমান আর বানরের বাদরামি সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ প্রিয় শ্রীমঙ্গল।
আর এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ নিয়মিতই যাচ্ছেন শ্রীমঙ্গলে।
আছে তো এক টুকরো স্বর্গ- চায়ের দেশে গিয়ে চায়ের স্বর্গে থাকলেই না পূর্ণতা পাবে এই আনন্দ ভ্রমণ। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে হবিগঞ্জ রোড উত্তর উত্তরসুরে রয়েছে টি হ্যাভেন রিসোর্ট।
প্রিয়জন নিয়ে নিরাপদে স্বল্প খরচে আন্তর্জাতিকমানের সব সেবা পেতে এর চেয়ে ভালো অপশন কমই আছে শ্রীমঙ্গলে। অতিথিকে মুগ্ধ করে এখানকার সবার আন্তরিক ব্যবহার। রিসোর্টের মালিক আবু সিদ্দিক মুসা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খোঁজ নেন অতিথিদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। সেদিন ফারহানা-রফিক দম্পতি শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে গিয়ে টি-হ্যাভেনে ছিলেন, তাদের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, রিসোর্টটি এতো ভালো লেগেছে যে মনে হচ্ছিল সারাক্ষণ হোটেলেই থাকি। এতো আন্তরিকতা আর আতিথেয়তা মনে হয়েছে কোনো আপন আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি।
ফারহানা মজা করে যোগ করেন, মুসা চাচার ব্যবহারে মনে হয়েছে নতুন জামাই নিয়ে চাচা বাড়িতে বেড়াতে গেছি। এই দম্পতি রিসোর্টটিকে শ্রীমঙ্গলের স্বর্গের সঙ্গেই তুলনা করেন। রফিক বলেন, এখানে থাকার জন্যই হয়তো এই ট্যুর জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এখানকার খাবারের কথাও অতিথিকে মনে রাখতে হবে অনেকদিন। কারণ এখানে স্বাগত জানানো হয় আনারস দিয়ে, এরপর মূল খাবারের মেন্যুতে থাকে বিলের মাছ, সাতকরা দিয়ে গরু বা মুরগির মাংস, টাটকা শাক-সবজি। ছয় তলার স্বচ্ছ কাঁচঘেরা রেস্ট্রুরেন্ট থেকে চারদিকে যতদূর চোখ যায় শুধুই সবুজ আর সবুজ মনে হয় আকাশ এসে সবুজ দিগন্তে মিশে গেছে।
অতিথিদের জন্য প্রতিটি রুম পর্যাপ্ত খোলা মেলা এখানে, প্রতিটি রুমের সঙ্গেই রয়েছে বেশ বড় বারান্দা, সকালে নানা পাখির ডাকে ঘুম ভাঙ্গে ছোট্ট এই স্বর্গে। রয়েছে বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গা।
যে কোনা কর্পোরেট মিটিং-এর জন্য অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, প্রোজেক্টর সুবিধাসহ রয়েছে ১৫০ জনের কনফারেন্স রুম।
রয়েছে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং এর সুবিধা। এছাড়াও শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য পর্যটকদের দেখার সুযোগ করে দিতে টি হ্যাভেন রিসোর্টের রয়েছে গাড়ির সার্ভিস। শীত মৌসুমে বাইক্কা বিল অতিথি পাখি দেখতে বা দর্শনীয় স্থানে যেতে পর্যটকরা এই গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
যোগাযোগ: ০১৭৫৭৫৯০৯৯৪