জমে উঠেছে হবিগঞ্জ এর ঈদ বাজার। শহরের অভিজাত শপিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে ছোট খাট বিপনী বিতান ও কসমেটিকস হাউজগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই আছে।
এবারের ঈদে পোশাকের দিক দিয়ে তরুণীদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে শীলা, পাগলু ও উর্মিলা। এছাড়া মাসাককালি, মুন্নি, দাবাং ও শাকিরার প্রতিও আগ্রহ দেখাচ্ছেন তরুণীরা। শাড়ির বাজারে বেহুলা, শীলা ও লেহেঙ্গার কদরই বেশি।
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি বলে জানান ক্রেতারা। বিষয়টি সত্য বলে স্বীকার করেন ব্যবসায়ীরাও।
এ ব্যাপারে শহরের অভিজাত শপিং কমপ্লেক্স খাঁজা গার্ডেন সিটির পোশাকের দোকান আঁচল এর স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বাজারে কাঁচামাল থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে। এর সাথে তাল মিলিয়েই পোশাকের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
একই ধরণের কথা বলেন, উনিশ কুঁড়ির মনসুর আহমেদ, ফিমেল ওয়ার্ল্ডস্ এর মনসুর উদ্দিন, আল রাফি ক্লথ স্টোরের আব্দুল্লাহ মিয়া ও নবী স্টোর এর ম্যানাজার ফারুক আহমেদ।
তারা আরও বলেন, পোশাকের মূল্য বেশি হলেও মান অনেক ভাল। গত বছরের চেয়ে এ বছর অনেক আগ থেকেই ঈদের কেনা কাটা শুরু হয়েছে বলে তারা জানান।
শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ এর ইন্টারমিডিয়েট ১ম বর্ষের ছাত্র আশরাফ উদ্দিন তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, তিনি ছোট ভাই ও বোনের জন্য বিভিন্ন পোশাক কিনেছেন। তবে দাম অনেক বেশি।
স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে শপিং করতে আসা শহরের সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ রায়হান বাংলানিউজকে জানান, পোশাকের দাম তো অনেক বেশি। তারপরও তা কিনতে হচ্ছে। ঈদে কেনা কাটার জন্য তার নিজস্ব একটি বাজেট রয়েছে। এ বাজেটের মধ্যেই কেনা কাটা শেষ করবেন।
শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতান ঘুরে দেখা যায়, শীলা ২ থেকে ৫ হাজার টাকা, পাগলু ১ থেকে ৩ হাজার টাকা, উর্মিলা ২ থেকে ৩ হাজার টাকা, মাসাককালি ১ থেকে ৫ হাজার টাকা, দাবাং ৮ থেকে ১৫ হাজার, ময়ূরকলি ১ হাজার ৬ শ’ থেকে ২ হাজার ২ শ’ টাকা, মুন্নি ১ থেকে ২ হাজার টাকা এবং শাকিরা ২ থেকে ৪ হাজার টাকা।
শাড়ির বাজারে শীলা ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, দাবাং ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা, বেহুলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা, জেসমিন ও সাগরিকা ১ থেকে ৩ হাজার টাকা, মনপুরা ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, ইন্ডিয়ান টিস্যু ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা এবং লেহেঙ্গা ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নেট এর শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায়।
পোশাকের পাশাপাশি কসমেটিকস্, গহনা ও জুতার দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়। ঈদে নতুন নতুন ডিজাইনের জুতা, গহনা ও কসমেটিকস্ সামগ্রী এসেছে বলে জানান বিক্রেতারা।
নন্দন কসমেটিকস্ এন্ড গিফট সেন্টারের বিক্রেতা উত্তম দেব বাংলানিউজকে জানান, নতুন ডিজাইনের কানের দোলই বিক্রি হচ্ছে বেশি। এছাড়া ঈদে পারফিউম বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে।