ফলে নিত্যদিনের জ্যাম একটু একটু করে বাড়ছে। সব সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে আজকের স্টুডেন্টদের সময় মতো ক্লাস ধরা, চাকুরেদের অফিস, গৃহিণীর বা”চাকে স্কুলে নামিয়ে দেয়া, বাজার -ঘাট সবই সামলাতে হয়।
মিরপুরের পারভীন খান বলছিলেন নিজের গল্পটা। কারওয়ান বাজারে রোজ অফিস করেন। সকাল সাড়ে ৭টায় এসে মিরপুর ১০ নাম্বারে বাসের জন্য লাইনে দাঁড়ান। ৮টার মধ্যে বাসে উঠতে পারলে ৯টার মধ্যে অফিসে ঢুকতে পারেন। নয়তো লেট। তিনি বলেন, টেনশনে অস্থির হয়ে বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকি থাকি। তখন দেখি বাসের পাশ দিয়ে সাই সাই করে চলে যাচ্ছে স্কুটিগুলো। এক হাত জায়গা পেলেই স্কুটি আর থেমে থাকছেনা। আমার খুব ই”ছা একটা স্কুটি কেনা। তাহলে রোজ কম করে হলেও দুইঘণ্টা সময় বাঁচতো।
নীলিমা মাহতাব নামে মোহাম্মদপুরে আরেক কর্মজীবী নারী জানালেন ভিন্ন অভিজ্ঞতা। তিন বছর আগে তিনি একটা স্কুটি কেনেন। সেটা চালিয়ে রোজ অফিসে যেতেন। পারফরমেন্স ভালো। কাগজপত্রও ঠিকঠাক আছে। গতমাসে অফিসের পিকনিকের ৠাফেল ড্রতে তিনি নতুন একটা স্কুটি জিতেছেন। এখন ভাবছেন নতুনটা চালাবেন আর পুরনোটা বিক্রি করে দেবেন। একটা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সেটা তুলেছেন। প্রচুর ক্রেতার কাছে থেকে আসছে কিš‘ এখনো দামে হয়নি।
নারীদের জন্য স্কুটি ৮০সিসি থেকে ১৫০সিসি সব ধরনের স্কুটি মার্কেটে রয়েছে। মাহিন্দ্র ডিউরো, মাহিন্দ্র রোডিও, টিভিএস ওয়েগো, টিভিএস পেপ, স্কুটিগুলো নারীদের সিটি বাইক হিসেবে চমৎকার। শোরুম থেকে নতুন স্কুটি নিতে খরচ পড়বে এক থেকে দেড় লাখ টাকা।
বারিধারার সানজিদা তামান্না মনে করেন, নারীদের বাইকের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই তাদের জন্য বাইকের সেকেন্ড হ্যান্ড বাজার চালু হতে পারে, যেখানে সেটা বিক্রি হবে।
এখানেই ডট কম, বিক্রয় ডট কম-এর মতো অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলোতে ব্যবহৃত স্কুটি পাওয়া যায়। তবে পুরোনো স্কুটি কেনার আগে অবশ্যই কন্ডিশন এবং কাগজ যাচাই করে নেবেন।
তবে নারীদের জন্য ঢাকায় প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে সেকেন্ড হ্যান্ড স্কুটি মেলা। আগাঁরগাওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ২৪ ও ২৫ মার্চ এই মেলা আয়োজন করবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস এখানেই ডট কম।
খুব ভালোভাবে স্কুটি চালানো না শিখে মেইন রাস্তায় বের হবেন না। আর অবশ্যই ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।
দিন দিন স্বাধীনভাবে চলতে নারীদের প্রথম পছন্দের বাহন হয়ে উঠছে স্টাইলিশ স্কুটি।