গাইবান্ধা শহর থেকে কলেজ রোডের দিকে মাত্র চার কিলোমিটার গেলেই এসকেএস ইন রেস্ট হাউজ অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড। উত্তর জনপদে এতো সুন্দর রেস্ট হাউজ পাওয়া যাবে, তা হয়তো কেউ অতিথি না হলে বুঝতেই পারবেন না।
বৈশাখী আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটি দিচ্ছে নানা অফর। মাত্র ৩০০০ টাকায় প্রিয়জনসহ রাত্রীযাপন। সঙ্গে পাবেন ব্রেকফাস্ট বুফে ও পান্তা-ইলিশ। দিনভর থাকছে বাউল সঙ্গীতের আয়োজন।
এখানে কটেজ রয়েছে অনেকগুলো । কটেজগুলো দেখতে ঠিক কুঁড়ে ঘরের মতো। একদিকে বিশাল খোলা মাঠ অন্যদিকে পুকুর। পুকুরের উপর ঝুলন্ত বারান্দায় ছুঁই ছুঁই করছে পানি। বারান্দায় পাতা রয়েছে চেয়ার-টেবিল। মন কাড়ে কক্ষের ইন্টেরিয়রও। রুচিশীল সব আধুনিক ফার্নিচারের সমাহার। ভেতরে শোভা পাচ্ছে পাতাবাহারও।
কাচে ঘেরা খোলা জানালা, সরালেই দখিনা মৃদুমন্দ হাওয়া। সকাল সন্ধ্যায় পাখির কলকাকলী, রাতে শেয়ালের ডাক। জানালার কাছে ঝিকিমিকি করবে জোনাকির ঝাঁক। নিস্তব্ধ রাতে কান পাতলে শোনা যাবে ঝিঝি ডাক অথবা পুকুরের পানিতে মাছের লেজের ঝাপটানি।
এ সবই উপভোগ করতে পারবেন “এসকেএস ইন্” কটেজের বিছানায় শুয়েই। গাইবান্ধা শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে ছবির মত সুন্দর গ্রাম রাধাকৃষ্ণপুরে অবস্থিত নান্দনিক এই রিসোর্ট।
দরজা ও কাচের দেয়ালের অবস্থান বিপরীত মেরুতে। সে কারণে দরজা খুলে থাই ফিটিংস সরিয়ে দিলে দখিনা হাওয়া কটেজগুলিকে যেন এফোঁড় ওফোঁড় করে দেবে। হু হু বাতাসে যেখানে রুমগুলোর টেবিলে কাগজ বা হালকা জিনিস রাখাই দায় সেখানে এসি কিংবা বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহারের প্রশ্নই অবান্তর। স্নিগ্ধ এই হাওয়ার শীতল পরশে এক নিমিষেই জুড়িয়ে যাবে শরীর-মন।
কটেজের রুমগুলোতে বাতাস অনায়াসে যাতায়াত করতে পারলেও চোরের প্রবেশ কিন্তু সহজ হবে না। থাই ফিটিংসের বাইরে রয়েছে মোটা গ্রিলের দরজা। চাইলেই সার্টারের মতো সরিয়ে রাখা যায়। পুরো রিসোর্ট রয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। রয়েছে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টার সতর্ক প্রহরা।
রাতের রিসোর্ট আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন আবেশে জড়ানো। পুকুরের একপাশের ঝর্না থেকে পানি গড়িয়ে মিশছে পুকুরে। তৈরি করছে কলকল শব্দ। পল্লীর কোন ছোট নদীতে পেতে রাখা মাছ ধরার বানায় পানির স্রোত বাধা পেলে যে শব্দ তৈরি হয় অনেকটা যেন সেই শব্দই।
রিসোর্টের চারিদিকে কয়েক’শ বিঘা জুড়ে বিস্তৃত বোরো ক্ষেত। সেখানে ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাং, ঝিঝি পোকার ডাক যে কারো মন পুলকিত করে তুলবে। রাতে মাঝে মাঝে চমকে উঠতে পারেন শেয়ালের ডাকেও। সব মিলিয়ে পুরো রিসোর্টটিকে যেন চাদরের মত জড়িয়ে রেখেছে গ্রামীণ আবেশ।
খাওয়া-দাওয়া নিয়ে নো টেনশন। অর্ডার দিলেই পাতে জুটবে ব্রহ্মপুত্রের তাজা বোয়াল, বাঘাআইড় থেকে শুরু করে রুই, বাইন, টেংরা, পুটিসহ মিঠাপানির সুস্বাদু সব দেশীয় মাছ। চাইলে তাজা মাছও ফ্রাই করে পরিবেশন করা হবে পাতে।
যোগাযোগ: 01853332974, 01856450252, 01840375624 www.sksinn.com