ঘুম
আগের রাতে একটা ভালো ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে ঘুমালে পরের দিনের জন্য চাঙ্গা হয়ে বেরোতে পারবেন।
পর্যাপ্ত পানি পান
বিভিন্ন আবহাওয়ার সাইটগুলো ভিজিট করে দেখা গেছে পহেলা বৈশাখে ২৩ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকতে পারে। বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনাও নেই। এজন্য গরমে সারা দিন ছুটোছুটিতে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। পানিশূন্যতা থেকে হতে পারে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। এজন্য পানি খেতে হবে বেশি বেশি। সঙ্গে রাখতে হবে পানির বোতল।
রাস্তার ফল-শরবত
আমরা ঘুরতে বের হয়ে অনেকেই বাইরের আমভর্তা, কাটা শশা, তরমুজ খেয়ে থাকি। অনেকে এ সময় রাস্তার শরবত খাই। এসব খাবার থেকে জণ্ডিস, ডায়রিয়া হতে পারে।
ছায়ায় থাকুন ছাতা রাখুন
বাইরে তো ঘুরাঘুরি করবেনই। তবে যতটা সম্ভব ছায়ার মধ্য দিয়ে হাঁটার চেষ্টা করুন বা থাকুন। আর রোদের জায়গায় অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন।
সানস্ক্রিন - সানগ্লাস
বের হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ৩০ এইচপিএফ হলে ভালো হয়। এটি নারী-পুরুষ উভয়ই ব্যবহার করতে পারবেন। সানগ্লাস ব্যবহার করবেন।
ভারি মেকআপ
এই গরমে ভারি মেকআপ করলে ঘেমে মেকআপ নষ্ট হয়ে যায়। এতে আরও অস্বস্তি তৈরি হয়। এজন্য হালকা সাজুন, সারাদিন স্নিগ্ধ থাকুন।
মাথা ঘুরলে বা অস্থির লাগলে, চোখে অন্ধকার দেখলে দ্রুত ঠাণ্ডা স্থানে চলে যান। আর এমন হলে শরীরে কাপড় যতটুকু সম্ভব খুলে ঠাণ্ডা পানি ঢালতে হবে।
শিশুদের নিয়ে বের হলে অবশ্যই তাদের সুবিধা অসুবিধা লক্ষ্য রাখুন। আরামদায়ক সুতির কাপড়ের পোশাক পরান। সারাদিন শিশুদের নিয়ে বাইরে থাকলে তারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। ভালো হয় যেকোনো একবেলা শিশুদের নিয়ে বাইরে থাকলে।
পহেলা বৈশাখে বাঙালি একটু বেশিই খাবে। কিন্তু এই গরমে খাবারের বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে হবে। ডুবু তেলে ভাজা খাবার, রিচফুড এড়িয়ে চলাই ভালো হবে।
বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, আগের রাতেই কিছু রান্নাসহ সব গুছিয়ে রাখুন।
এবার ঘোরাঘুরির সময় ভুভুজেলা বাজানো যাবে না, ভয়ের সৃষ্টি করে এমন কোনো বিকট শব্দ করা যাবে না, অবশ্যই নিদের্শনাগুলো মেনে চলবেন।
বছরের শুরুর দিনের মতোই আনন্দময় ও উৎসবমুখর হোক প্রতিটি দিন।