দেশের বৃহত্তম বসুন্ধরা শপিং মলের ৫ম তলায় বিশালাকার সব সানগ্লাসের দোকান। লাল, নীল, সবুজ-বাহারি সব রং ও আকৃতির সানগ্লাস রয়েছে এখানে।
দোকানিরা জানালেন, তাদের দোকানে বিক্রি হওয়া সবই বিদেশি সানগ্লাস। বিশ্বের নামিদামি সব ব্র্যান্ডের সানগ্লাসই মিলবে এসব শপগুলোতে। সব মিলিয়ে ৩০টির বেশি ব্র্যান্ডের সানগ্লাসের সমাহার রয়েছে এসব দোকানে। এসব সানগ্লাসের দামেও রয়েছে ভিন্নতা।
প্রাইম অপটিকসের সত্ত্বাধিকারী নাসিম আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে ইউএসএ, ফ্রান্স, ইতালি, কোরিয়া, ইন্ডিয়ান, চায়না, বেলজিয়াম প্রভৃতি দেশের সানগ্লাসই বেশি বিক্রি হয়।
তিনি বলেন, ৩শ’ টাকা থেকে ৭/৮ হাজার টাকা দামের সানগ্লাসই বেশি বিক্রি হয়। রয়েছে দেড় লাখ টাকা দামের কার্টিয়ার ব্র্যান্ডের সানগ্লাসও।
তিনি জানান, সব বয়েসের মানুষই সানগ্লাস ব্যবহার করলেও মূলত: অভিজাত ঘরের উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদেরই বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়।
বসুন্ধরা অপটিকসের মালিক সালমান সাগর বলেন, আমাদের দোকানে বিক্রি হওয়া বিদেশি ব্র্যান্ডের সানগ্লাসের মধ্যে রেবন, আর্মানী, পলিস, কার্টিয়ার, গুচি, ডিওর, বার্চাস, লুইস বাটন, কেরারা, পওরশে, সিকে, টেগুয়ার বেশি বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ননব্র্যান্ডের সানগ্লাস ২শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকার মধ্যে পাওয়া গেলেও জেনুইন ব্র্যান্ডের সানগ্লাসের দাম ৫-৭০ হাজার টাকার মধ্যে। এর চেয়ে বেশি দামের সানগ্লাসও রয়েছে, তবে তা কম ব্যক্তিই ব্যবহার করেন।
তিনি আরো জানান, ননব্র্যান্ডের সানগ্লাসে চোখের জন্য ক্ষতিকারক আল্ট্রা ভায়োলেট প্রটেকশন না থাকলেও ব্র্যান্ডের সব সানগ্লাসেই তা রয়েছে।
দোকানটিতে সানগ্লাস কিনতে আসা সোহান জানান, সানগ্লাস তার খুব প্রিয়। নতুন নতুন ভালো ব্র্যান্ডের সানগ্লাস সংগ্রহ করা তার শখ। শুধু ফ্যাশন নয় চোখকে তীব্র রোদে আরাম দিতেও সানগ্লাসের বিকল্প নেই।
সানগ্লাস ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত দিক প্রসঙ্গে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. মুহাম্মদ নাজমুল হক কল্লোল বাংলানিউজকে বলেন, দিনের বেলায় বাইরের বেশি আলো থেকে চোখকে সুরক্ষা দিতে সানগ্লাস ব্যবহার অবশ্যই ভালো। এছাড়া মোটরসাইকেল আরোহী ও যারা অধিক সময় বাইরে চলাফেরা করেন তাদের জন্যেও সানগ্লাস ব্যবহার উপকারী।