জন্মদিন কাকে বলে জানেনা ১০ বছর বয়সী জয়পুরহাট শহরের তাজুরমোড় এলাকার স্থানীয় শিশু বিকাশ কেন্দ্রের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী নাভানা। এবারই প্রথম তার জীবনে প্রথম জন্মদিন পালিত হলো।
যদিও সত্যিকার জন্মদিন নয়, তবুও যেন জন্মদিনে আনন্দের কমতি ছিলনা অনুষ্ঠানে। হরিজন পল্লী ( সুইপার পল্লী) ও শহরের ভাগ্যহত সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্মদিনের আনন্দ বোঝাতেই এ জন্মদিনের অনুষ্ঠান।
’শিশুরা বিকশিত হোক তাদের স্বতঃস্ফুর্ত বিচরনের মধ্য দিয়ে এবং পরিপুর্নতা আসুক সফল পথ চলার অঙ্গীকার নিয়ে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার সকালে ওয়ার্ল্ডভিশন জয়পুরহাট এডিপি ’চিলড্রেন ইন মিনিিিষ্ট্র প্রজেক্টের উদ্যোগে পালিত হল ১৭০ জন হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুর ব্যতিক্রমী জন্মদিন।
জয়পুরহাট শহরের মাহালী পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে মোমবাতি জালিয়ে, কেক কেটে, রং-বেরঙের বেলুন ফুলিয়ে নাচ-গানে এ জন্মদিন পালন করেছে শিশুরা। শুধু নাচ-গান নয় জন্মদিনে শিশুদের বালতি, মগ, সাবান ও চকলেট উপহার পেয়ে এইদিন কে যেন অনন্য ভালোলাগার দিন হিসাবে দেখছে তারা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ৫ইউনিয়ন ও সদর পৌরসভার ৪ হাজার ৬শ’ সুবিধা বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া শিশু নিয়ে কাজ করা মাইকেল গোমেজ বাংলানিউজকে বলেন, সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশু জন্মদিন কিভাবে পালন করতে হয় তার ধারনায় ছিলনা। একসাথে অনেকগুলো ছেলে-মেয়ের জন্মদিন পালন শিশুদের উৎসবের আনন্দ দিয়ে থাকে। প্রতিবছর শিশুদের মানসিক বিকাশ ও অধিকারগুলো চিহিত করে প্রতি বছরই সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ব্যাতিক্রমধমী জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠান পালন করে থাকে বলে জানান তিনি।
জন্মদিন অনুষ্ঠানে প্রজেক্টের সেক্টর কো-অর্ডিনেটর দানিয়েল সরকারের সভাপতিত্বে সাংবাদিক, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিশুদের বাব-মা ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বন্ধুরা, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জীবনে একটি দিন আনন্দে ভরে দেওয়ার এই উদ্যোগ হতে পারে আমাদের কাছেও অনুকরণীয়।