ছোট ছোট সময়গুলো আনন্দে ভরা থাকতো দুজন একসঙ্গে থাকলে। হাসান দূরে গেলেও মনটা যেন ফেলেই যেত জয়ার কাছে।
কথা বন্ধ
কোনো সমস্যা হলেই, কথা বন্ধ-যোগাযোগ বন্ধ এটা সম্পর্কে দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
মনোবিদরা বলেন, সম্পর্ক নষ্ট করার প্রধান অস্ত্র হল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া।
গুরুত্ব না দেওয়া
প্রিয়জনের কাছে সবাই গুরত্ব আশা করে। কিন্তু কথায় বা আচরণের মাধ্যমে যদি আমরা সঙ্গীকে হেয় করি এতে সম্পর্ক খারাপই হতে থাকবে ।
সে তার মতোই চলে
একসঙ্গে থেকেও একে অপরের জীবনে কী চলছে না জানা, খবর না রাখা অস্বাভাবিক।
কোয়ালিটি টাইম
যখনই একসঙ্গে হচ্ছেন কোনো কারণ ছাড়াই ঝগড়া হচ্ছে, মনে হচ্ছে প্রতিপক্ষ রয়েছে সামনে। তাকে যেভাবেই হোক কথায় হারাতে হবে। এভাবে কি জেতা যায়? সময়টা চলে যায়-সম্পর্কটাই নষ্ট হয়।
ভবিষ্যতে একসঙ্গে
কোনো বিষয়ে আর একসঙ্গে কোথাও যাওয়া বা কিছু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে না, তার মানে দূরত্বটা বেশ বেড়েছে।
এই যখন অবস্থা দুজনের স্বপ্নের সংসারের। এখান থেকেই সব শেষ হয়ে যেতে পারে। চাইলে কিন্তু এখান থেকেই শুরু হতে পারে নতুন করে। এজন্য যা করতে হবে দুজনকেই:
সংসারের ছোট ছোট কাজ একসঙ্গে সারার চেষ্টা করুন। এতে যেমন একসঙ্গে সময় কাটানো হবে, তেমনই সংসারের প্রতি দু’জনেরই দায়বদ্ধতা তৈরি হবে।
জীবনে ব্রেক আনতে কখনও-সখনও পার্টনারকে রোমান্টিক মেসেজ বা স্মাইলিও পাঠাতে পারেন।
দাম্পত্য সুখের জন্য একে অপরের পেশাকে সম্মান করাটাও খুব জরুরি। পার্টনারের পেশা আপনার ভাল না লাগতেই পারে। কিন্তু দিনের শেষে উপার্জনটা সংসারের জন্যই হচ্ছে।
সব কাজ গুছিয়ে কয়েক দিনের জন্য কোথাও ঘুরে আসুন। আর সেখানেই রেখে আসুন কষ্টের সময়গুলোর স্মৃতি।
ফিরে এসে ভালোবাসা নিয়েই নতুন করে শুরু হোক পথ চলা।