আরেকটি প্রচলিত আতঙ্কের নাম সোস্যাল ফোবিয়া বা সামাজিক হেনস্থাভীতি, যা অনেকের মাঝেই রয়েছে।
এছাড়া আরও কিছু ফোবিয়া বা ভীতি রয়েছে যেমন
• অফিডিও ফোবিয়া: সাপভীতি
• সাইনোফোবিয়া: কুকুরভীতি
• এরোফোবিয়া: উড্ডয়নভীতি(এরোপ্লেনে চড়ার প্রতি ভয়)
• ক্লাসট্রোফোবিয়া: আবদ্ধ বা সংকীর্ণস্থানে আটকে মরার ভয়
• একরোফোবিয়া: উচ্চতাভীতি
• হাইড্রোফোবিয়া বা একুয়াফোবিয়া: জলভীতি
• আর্সনফোবিয়া:অগ্নিভীতি
এমন কতগুলো ফোবিয়া আছে যা মানুষ তা সহজাত বা স্বাভাবিক বলে মেনে আসছে অথচ তা মানুষের মানসিক উদ্বেগকে প্রশমিত হতে বা স্বস্তি দিচ্ছে না।
• এন্ড্রফোবিয়া(মহিলাদের পুরুষভীতি)
• গ্লসোফোবিয়া(জনগণের সামনে বক্তব্য দিতে ভীতি)
• এনোক্লোফোবিয়া(ভীড়ভীতি)
• এজিরো ফোবিয়া (রাস্তাভীতি বা রাস্তা পার হওয়া নিয়ে আতঙ্ক)
• এস্ট্রাপো ফোবিয়া (বজ্রপাতভীতি)
অটোফোবিয়া বা একাকীত্বভীতিকে অতি স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক ব্যাপার বলে মনে করে থাকি। তবু মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে কিছু পারিবারিক বিধি, বংশানুক্রম এবং কিছু মস্তিস্কসংক্রান্ত সমস্যায় মানুষ ফোবিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
হার্ভাড মেডিকেল স্কুলের এক সমীক্ষা থেকে জানা যায় লিঙ্গভেদে এ ফোবিয়ার পরিসংখ্যান ভিন্ন এবং বৈচিত্র্যময়। সমীক্ষায় আলোচিত হয় যে কিছু হরমোনগ্রন্থির হরমোন উপস্থিতি এবং তা নিঃসরণের ভিন্নতার কারণেই মূলত এই পরিসংখ্যানের ভিন্নতা রয়েছে।
আর সে কারণেই
• নারীদের সামাজিক নিরাপত্তাভীতি কোনো না কোনোভাবে পুরুষদের চেয়ে দ্বিগুণ
• আবার পরুষদের চেয়ে নারীদের এগোরা ফোবিয়া বা জনগণের মুখোমুখি হবারভীতি তিনগুণের চেয়েও বেশি
• যেখানে মাত্র ৫-৬ শতাংশ পুরুষ দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ সামাল দেয় সেখানে ১০-১৪ শতাংশ নারী তা করতে পারেন
সবশেষে ফোবিয়ারমুক্ত হবার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের কাছে এর সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা চারটি মূল সমাধানের পথ বাতলে দেন
• কাউন্সিলিং
• মেডিটেশন
• সাইকোথেরাপি
• কগনিটিভ বিহেবিয়ার থেরাপি
নিজের ভেতরের ফোবিয়ার জাল বিস্তার বন্ধ রাখতে সমস্যাটি গোপন না রেখে বিশ্বস্ত কারো সঙ্গে শেয়ার করুন।