কয়েকশ বছর ধরে চাইনিজ ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে জ্বর, ঠাণ্ডা ও বদহজম রোধে দারুচিনি ব্যবহার করা হতো। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজ।
দেখে নেওয়া যাক রূপচর্চায় দারুচিনির কয়েকটি ব্যবহার-
ঠোঁট প্লাম্প করতে কিংবা ফোলাতে
আপনি যদি পাতলা ঠোঁটের অধিকারী হন, তাহলে কোনো দরকার নেই সার্জারি করে ঠোঁট ফোলানোর। দারুচিনিই এক্ষেত্রে আপনার বেশ কাজে আসবে। প্রথমে ঠোটে ভ্যাসলিন দিন। তার ওপর এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো ঘষুন। কয়েক মিনিট রেখে দিন। এ পর্যায়ে আপনার ঠোঁট জ্বলতে পারে বেশ কিছুক্ষণ। তারপর পরিষ্কার টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে ফেলুন ঠোঁট।
মনে রাখবেন, দারুচিনি কখনো সরাসরি ঠোঁটে লাগাবেন না, এতে খুব জ্বালাপোড়া হতে পারে।
ব্রণ প্রতিরোধক ফেসমাস্ক বানাতে
মুখের রোমকূপ পরিষ্কার, ব্রণ প্রতিরোধ করতে দারুচিনি দিয়ে তৈরি ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে তিন টেবিল-চামচ মধু ও এক চা-চামচ দারুচিনি। পুরু একটি মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগান। দারুচিনি ব্রণের ব্যাকটেরিয়া রোধ করবে ও মধু মুখের লালচে ভাব কমিয়ে নরম, কোমল করে তুলবে। দশ মিনিট রেখে ফেসমাস্কটি ধুয়ে ফেলুন।
চুল পড়া রোধে
যেকোন মানুষের জন্যে ‘চুল পড়া’ একটি ভয়ানক ব্যাধি। সপ্তাহে একদিন দারুচিনি দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করে অনেকাংশে রোধ করতে পারেন এ সমস্যা। দুই টেবিল-চামচ দারুচিনি ও মধুর সঙ্গে অর্ধেক কাপ গরম জলপাই তেল মেশান। এ মিশ্রণকে আরেকটু ঘনত্ব দিতে চাইলে ডিম যোগ করতে পারেন। ভেজা চুলে সুন্দর করে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সতেজ নিশ্বাস
নিশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন আপনি? কয়েকটি দারুচিনির টুকরো মুখে নিয়ে চাবান কিংবা গরম পানিতে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে কুলকুচি করুন।
শুষ্ক ত্বকের স্ক্রাব হিসেবে
শুষ্ক ও খসখসে ত্বক নিয়ে কেউই বাস করতে চান না। এক্ষেত্রে, যথেষ্ট উপকারী উপাদান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ‘দারুচিনি’। লবণ, বাদাম তেল, জলপাই তেল, মধু ও দারুচিনির মিশ্রণে একটি দারুণ স্ক্রাব তৈরি করে শুষ্ক ত্বকে ব্যবহার করুন। এবার ফলাফল দেখুন নিজের চোখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
বিএটি/এএ