ভাবুন তো দু’পাশে অবারিত জলরাশি। আর তার মাঝে পিচঢালা রাস্তায় আপনি হাঁটছেন।
দুপুরের পর থেকে সব বয়সী মানুষ আসতে থাকে এখানে। এলাকাটির নাম পাটুল হলেও ভ্রমণ বিলাসী মানুষ এর নাম দিয়েছে মিনি কক্সবাজার, কেউ বলে পতেঙ্গা বা দ্বিতীয় আশুলিয়া এই রিভারভিউ দেখার জন্য মানুষের ভিড় দিন দিন বাড়ছে।
হালতি বিলের মধ্য দিয়ে নির্মিত হয়েছে একটি নতুন রাস্তা। ওই রাস্তায় হাঁটলে সমুদ্র সৈকতের আমেজ পাওয়া যায়। দুই পাশে পানি আর পানি। মাঝে রাস্তায় ছোট-বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে।
পানির ওপর ভাসমান রাস্তায় যেন হাঁটছে মানুষ। কেউ কেউ দল বেঁধে বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নৌকায় চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিলের মধ্যে।
আনন্দ ভ্রমণের এমন সুযোগ এর আগে আর মেলেনি । এবার হালতি বিলে মাছ পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর। বাড়ি ফেরার পথে বাড়তি পাওনা হিসাবে তাজা মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে অনেকে। নাটোর শহর থেকে হালতি বিলের দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। অটো ও রিক্সা ভাড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা। সহস্র মানুষের আগমনে হালতি বিল এখন মুখরিত।
সময় নিয়ে সবান্ধব ঘুরে আসতে পারেন আমাদের দেশের এই মিনি কক্সবাজারে। এটকু বলা যায়, রাস্তার কোলে আছড়ে পড়া পানির শব্দ মুছে দেবে আপনার পথের ক্লান্তি।