ঢাকা, সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

শীতেও কদর কমেনি বিউটির লাচ্ছি-ফালুদার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
শীতেও কদর কমেনি বিউটির লাচ্ছি-ফালুদার শীতেও কদর কমেনি বিউটির লাচ্ছি-ফালুদার

পুরান ঢাকা। নবাবী চালচলনের প্রাচীন শহর। আতিথেয়তা, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, পোশাক-আশাকে এখনও স্বতন্ত্র সেখানকার অধিবাসীরা। তবে বিচিত্র খাদ্য-খানার জন্য বিশেষ খ্যাতি রয়েছে পুরান ঢাকাবাসীর। ভোজনরসিক এ শহরের অলিগলিতে রয়েছে নানান পদের সুস্বাদু খাবারের দোকান। 

বিরিয়ানি, কাবাবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রয়েছে লাচ্ছি, শরবত ও ফালুদার দোকানও। কিন্তু যুগের পর যুগ ধরে অন্য দোকানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে রয়েছে ‘বিউটি লাচ্ছি ও ফালুদা’।

৯৪ বছর আগে শুরুটা মোটেও সুখকর ছিল না তাদের। জনসন রোডের রায়সাহেব বাজারের ফুটপাতে শরবত বিক্রি করতেন প্রথমে। অনেক সাধনা ও পরিশ্রমের পর বর্তমানে তিনটি দোকান পুরান ঢাকায়। নাজিরা বাজার, রায়সাহেব বাজার ও লালবাগে। ৬০/এ, কাজী আলাউদ্দিন রোড, নাজিরা বাজার এবং লালবাগ কেল্লার একটু সামনেই ৩২৫/এ নম্বর দোকানে বিউটি লাচ্ছির অপর একটি শাখা।  

আলাপচারিতায় নাজিরা বাজার শাখার বিউটি লাচ্ছি দোকানের মালিক মো. জাবেদ হোসেন বলেন, ১৯২২ সালে আমার দাদা ফুটপাতে শরবত বিক্রি করতেন। দাদার মৃত্যুর পর বাবা এবং বাবার মৃত্যুর পর আমি ও আমার ভাই এ ব্যবসার হাল ধরি।

শীতেও কদর কমেনি বিউটির লাচ্ছি-ফালুদার

অন্য লাচ্ছি-শরবতের দোকান থেকে আপনাদের বিশেষত্ব কী? উত্তরে বলেন, আমরা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে সবকিছু তৈরি করি। কোনো ধরনের কেমিক্যাল, রং কিংবা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি না। চিনির সিরা, লেবুর রস, বরফ ও দই দিয়ে লেবুর শরবত এবং লাচ্ছি তৈরি করি। লেবুর শরবত প্রতি গ্লাস ১৫ টাকা, নরমাল লাচ্ছি ৩০ টাকা ও স্পেশাল লাচ্ছি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়।

আর মজাদার ফালুদার কথা রেসিপি সমেত বলে দিলেন কারিগর।

শীতেও কদর কমেনি বিউটির লাচ্ছি-ফালুদার

নুডলস, সাগু ও মালাই দিয়েই মূলত ফালুদা বানানো হয়। প্রথমে নুডলস ও সাগু সিদ্ধ করে নেওয়া হয়। এবার সেগুলো থেকে পানি ছেঁকে আলাদা করে নেওয়া হয়। মালাই তৈরি করা হয় দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে।  

পরে নুডলস, সাগু ও মালাই একত্রে নিয়ে তার মধ্যে চিনির সিরা মেশানো হয়। শেষমেষ পাকা কলা, বাদাম, আপেল, খুরমা কুচি ও বরফ দিয়ে সুন্দর করে পরিবেশন করা হয় বিউটির স্পেশাল লাচ্ছি।

এ হাড় কাঁপানো শীতেও ভোজনরসিকদের আনাগোনা ছিলো দেখার মতন। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো যে তারা সকলেই বিউটি লাচ্ছি ও ফালুদার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।  

সপ্তাহের সাত দিনই খোলা থাকে প্রত্যেকটি শাখা। এক ফাঁকে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন আপনিও!

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭ 
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।