আর তিনি যে প্রক্রিয়ায় আমাদের সেবা দেন তাকেই কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপি বলে। কেমন হলে আমরা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেব:
পরিকল্পনা করতে ও সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হলে
জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয় ও পরিকল্পনা করতে হয়।
আবেগ
মনে তীব্র আবেগ জমে থাকলে তা আমাদের দৈনন্দিন কাজে অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে। কারো কারো ছোটখাট বিষয়গুলোতে তীব্র দুশ্চিন্তা কাজ করে, কারো কারো বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকে, অনেক সময় একই চিন্তা বা একই কাজ বাধ্যতামূলকভাবে বার বার করতে হয়। এসব ক্ষেত্রে সাইকোথেরাপি নিতে হয়।
শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা
বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক শারীরিক লক্ষণের জন্য মানসিক কারণ দায়ী। এছাড়া মারা যাবার ভয়, যেকোনো সময় হৃদযন্ত্র বন্ধ হবার ভয় বা স্ট্রোকের ভয় কাজ করে। অনেকে মনে করেন তার ভয়ংকর রোগ হয়েছে। ডাক্তার হার্টে বা শরীরে কোনোই সমস্যা নেই বলা সত্ত্বেও তিনি আশ্বস্ত হতে বা থাকতে পারেন না। সাইকোথেরাপি গ্রহণ করে এ সমস্ত সমস্যা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।
পেশা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
আমাদের দেশে দেখা যায় বাবা-মায়েরা ছেলেমেয়েদের ওপর নিজেদের পছন্দমতো পেশা চাপিয়ে দেন। কিন্তু ছেলে/মেয়ের কোন পেশাতে আগ্রহ বা কোন পেশা গ্রহণ করলে তার ভালো করা সম্ভাবনা আছে তা জেনে পেশা গ্রহণ করলে সফলতা অর্জনের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত মনোবৈজ্ঞানিক টেস্ট প্রয়োগ করে মনোবিজ্ঞানী পেশা গ্রহণে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারেন।
মনোযৌন সমস্যা
আমাদের দেশে যথাযথ যৌনশিক্ষা না থাকায় ও বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারণা প্রচলিত থাকায় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের যৌন সমস্যা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রচলিত যৌন সমস্যার বেশির ভাগই শারীরিক নয়, বরং মানসিক কারণজনিত সমস্যা। সাইকোথেরাপির মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
দাম্পত্য ও পারিবারিক সম্পর্ক সমস্যা
জীবনের পরিক্রমায় নানা কারণে দাম্পত্য ও পারিবারিক সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে নিজেরা বা গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি বা গুরুজনদের সহায়তা নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিং নিতে হবে।