মনের পশুরে করো জবাই, পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই। কবির ভাষায় বলতে গেলে কোরবানির স্বার্থকতা ত্যাগেই।
প্রতি বছরই হাটগুলোতে দেখা যায় নানা রকমের কোরবানির পশুর বাহার। কোন কোনটার দাম হাকা হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। কারো কারো মধ্যে লক্ষ্য করা যায় কোরবানির পশু নিয়ে রীতিমতো চলে প্রতিযোগিতা। কেউ কেউ এলাকায় বিখ্যাত হওয়ার জন্য কিনে আনেন হাটের সবচেয়ে বড় পশুটিকে। তাই কোরবানির ঈদ যেন হয়ে উঠেছে এক বিলাসীতার প্রতিযোগিতা।
অথচ এই ঈদটির আনন্দই ত্যাগের মধ্যে, কোরবানির পশুটি তো শুধু প্রতিকী মাত্র। কোন পশুটি বেশি দামের বা কোনটি কম দামের সেটি কোন বিষয় নয়। এর প্রকৃত স্বার্থকতা হলো কোরবানির মাধ্যমে আমরা যেন ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হই, দেশ ও মানুষের সেবায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে যেন বিলিয়ে দিই ঈদের আনন্দকে। জীবনের চলার পথে আমরা যেন সংযত হই, সকলের মঙ্গলার্থে নিজের স্বার্থকে যেন কোরবানি করতে পারি, এই শিক্ষা নিয়েই প্রতি বছর আমাদের মাঝে আসে কোরবানির ঈদের আনন্দ।
কয়েকদিনের মধ্যেই কোরবানির হাটে পশু কেনাবেচায় সবাই মেতে উঠবেন, ঈদের আনন্দে ভরে যাবে আমাদের চারপাশ, কিন্তু নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে সবার মাঝে এর আনন্দ বিলিয়ে দিতে না পারলে ঈদুল আজহার উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে।