নতুন সংসার, নতুন চাকরি, নতুন এক জীবন। সব নতুনের স্বাদ আস্বাদনের আগেই বাস্তবতা কড়া নাড়ে।
ব্যয়বহুল এ শহরে ‘ঘাটতি বাজেটে’র ঝামেলা এড়াতে অনেক দম্পতিকেই তাই দেখা যায় ছোট্ট একটি ঘর দিয়ে সংসার জীবন শুরু করতে। যেখানে হয়তো তাদের রান্নাঘর, এমনকি বাথরুমও ভাগাভাগি করতে হয় পাশের ঘরের বাসিন্দার সঙ্গে।
সংসার যত ছোটই হোক, মনের মতো করে সাজানোর স্বপ্ন থাকে সবারই। এর সঙ্গে আছে প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা ও স্থান সংকুলান। কিছুই তো আর পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায় না। এসব বিবেচনা করে আপনার ছোট্ট ঘরটি প্রয়োজন ও পছন্দের জিনিস দিয়ে সাজানোর কিছু ‘বুদ্ধি’ এখানে বাতলে দেওয়া হলো। যদি কম্পিউটার থাকে তাহলে টেলিভিশন রাখার জায়গা বাঁচানোর জন্য কম্পিউটারেই টিভি কার্ড সংযুক্ত করা যায়।
- কম্পিউটার টেবিল হবে ছোট কিন্তু তাকসহ, যেন প্রয়োজনীয় সিডি-ডিভিডিসহ গৃহসজ্জার জন্য ফটোফ্রেম বা ছোট শোপিস এতে রাখা যায়।
- দৃষ্টিনন্দন ঝোলানো পাটের ব্যাগ ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়। এতে টুকিটাকি অনেক দরকারি জিনিসও রাখা যায়, যা এইকসঙ্গে ঘরের জায়গাও বাঁচায়।
- ঘরে যদি ডাইনিং টেবিল রাখতে হয় তাহলে ছোট ফোল্ডিং টেবিল হলেই ভালো। জায়গার প্রয়োজনে ভাঁজ করেও রাখা যাবে।
- সোফা অনেক বেশি জায়গা নিয়ে নেয়। এর বদলে ছোট ফোমের কুশন একই সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন এবং জায়গা সাশ্রয়ী। সঙ্গে বিভিন্ন রঙের পিলো এর সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করবে।
- বক্সসহ বিছানা উপকারী। এতে বিছানায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা যায়।
- আলনার বদলে দেয়াল হ্যাঙ্গার ঝোলানো যায়, যা ঘরের জায়গা বাঁচাবে।
- ড্রেসিং টেবিল রাখতে চাইলে ছোট হওয়াই ভালো। ড্রেসিং টেবিলের তাকে একইসঙ্গে ছোট ছোট শোপিস, ফটোফ্রেম, ফুলদানি রেখে ঘরের জায়গা ও সৌন্দর্য উভয়ই বাড়ানো যায়।
- ফুলদানিতে যথাসম্ভব পাতাবাহার এবং তাজা ফুল রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে ঘরে একটা সতেজ ভাব থাকবে।
- বারান্দা থাকলে এর আকার-আয়তন ও গঠন অনুযায়ী ছোট-বড় ফুল এবং পাতাবাহার গাছ রাখা যায়। তবে তাতে যেন বারান্দা গাছে বোঝাই না হয়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- বারান্দায় বসার জন্য বেত বা প্লাস্টিকের চেয়ার বা মোড়া রাখা যায়। পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে ঘরের ‘মুড’ বুঝে বেত বা স্টিলের দোলনাও ঝোলানো যেতে পারে।
- ঘরের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এর যে কোনো শেডের পর্দা ব্যবহার করা যায়। তবে কাপড় যেন ভারী না হয় এবং ঘরে সহজে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
- ঘরের রঙ এবং আয়তনের সঙ্গে মিলিয়ে মেঝের জন্য ছোট বা মাঝারি গোলাকৃতির কার্পেট ব্যবহার করা যায়। ঘরের পুরোটার জন্য কার্পেট না রাখাই ভালো।
- সামর্থ্য অনুযায়ী মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, ইলেকট্রিক কুকার ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো সময় বাঁচায়। আবার রান্নাঘরের অনেক ছোট জিনিস, যা অযথা জায়গা দখল করে, সেসবের প্রয়োজনীয়তাও কমিয়ে দেয়।
তবে ঘর যেভাবেই সাজানো হোক না কেন, সংসার যদি একটি ঘর নিয়েই হয়, তাহলে অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দিয়ে বোঝাই করবেন না। যতটা সম্ভব ফাঁকা এবং খোলামেলা রাখলো ঘরের সৌন্দর্য স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১০
এসকেএইচ