তাই মা দাদীরা যেমন পিরিয়ডের সময় কাপড় বা তুলা ব্যবহার করতেন তাদেরই নতুন প্রজন্ম এখন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করছে। সেনোরার স্কুল প্রোগ্রাম স্কুলে স্কুলে মেয়েদের সচেতন করার কাজটি করে যাচ্ছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে।
তবে এখনো এর আওতার বাইরে রয়েছে হাজার হাজার স্কুল। শহরের তুলনায় গ্রামের স্কুলগুলোতে সচেতনতার অভাব বেশি। বেশিরভাগ স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিনের দুস্প্রাপ্যতাও বড় বাধা।
পিরিয়ডের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন না পাওয়ার কারণে অনেক মেয়ে স্কুলেই আসেনা। পিরিয়ড সঠিকভাবে ম্যানেজ করতে না পারায় প্রায় ৪০শতাংশ মেয়ে প্রতি মাসে গড়ে ৪ থেকে ৬ দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। কেউ কেউ স্কুলই ছেড়ে দেয়। তবে স্কুলের মেয়েদের কাছে এক ঝলক স্বস্তির নিঃশ্বাস হয়ে এসেছে “নোরাআপা”। নোরাআপা’র মাধ্যমে স্কুলের মেয়েরা দরকারের সময় হাতের কাছেই পাচ্ছে সেনোরা স্যানিটারি ন্যাপকিন।
২০১৭ সালে প্রথম এই উদ্যোগটি শুরু হয়। শুরুতে ঢাকা, দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহীসহ ৮টি জেলায় ১৩৮টি স্কুলে নোরাআপা চালু হয়। এখন পর্যন্ত মোট ৩১০টি স্কুলে এই সুবিধা চালু রয়েছে।
প্রতিটি স্কুলে একজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নারী কর্মী বা আয়ার কাছে প্রয়োজনের সময় পাওয়া যাবে স্যানিটারি ন্যাপকিন।
তিনি একটি কাঠের আলমারিতে তা মানসম্মতভাবে সংরক্ষণ করেন ও ছাত্রীদের কাছে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করেন। মূলতঃ এই উদ্যোগটির নামই নোরাআপা।
সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাবে নারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এসআইএস