বিজ্ঞানীরা বলছেন, আত্মহত্যা করা বা করার কথা ভাবা শিশুর মানসিক সমস্যা বা রোগের কারণ হতে পারে। এ বিষয়ে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মো. ফারুক হোসেন বলেন, টিনএজারদের মধ্যে নানা ধরনের শারীরিক-মানসিক-হরমোনাল পরিবর্তন হয়।
তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষন্নতা দেখা দিতে পারে, তৈরি হতে পারে অস্থিরতা। অনেক সময় তাদের আবেগ, হতাশা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গিয়ে আত্মহত্যার পথও বেছে নেওয়ার চিন্তা করে।
তিনি বলেন, সমাজের অনেক বিষয় দেখে বা জেনে টিনএজাররা প্রভাবিত হয়, যেমন একটি ঘটনা তাদের মধ্যে ভালো কাজ করার প্রভাব তৈরি করে ঠিক তেমনি কোনো নেতিবাচক ঘটনা থেকেও একই ধরনের পথ বেছে নেওয়াকেই তারা মুক্তির পথ ভেবে নেয় অনেক সময়।
যেহেতু এই বয়সে তাদের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ হয়ে ওঠে না, কিন্তু তারা ভাবতে চায়, বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে অনেক সময় ভুল পথে অগ্রসর হয়ে যায়।
কোনো কিশোরের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ্য করলে
• পরিবারের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে তার সঙ্গে কথা বলা
• তাকে সুযোগ দেওয়া মনের কথা প্রকাশ করার
• সে কারো সঙ্গে আবেগের প্রকাশ করতে পারলে বেশিরভাগ সময়ই স্বাভাবিক মানসিক অবস্থায় ফিরে আসে আর ভয়াবহ পরিণতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে
• এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধু-শিক্ষক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে সাহায্যের জন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে প্রতিটি স্তরে
• বড় ভূমিকা রয়েছে মিডিয়ার, মিডিয়াতে এমন কোনো খবর প্রচার করা যাবে না, যা দেখে প্রভাবিত হয়ে কোমলমতি কিশোররা বিপথে যেতে পারে।
মনে রাখতে হবে, মানসিকভাবে নির্যাতিত শিশুরা পরবর্তীতে বিষন্নতা, হীনমন্যতায় ভোগার পাশাপাশি আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে ওঠে।
এমন হতে পারে, শারীরিক বা যৌন নির্যাতন থেকেও। তাই টিনএজারদের প্রতিটি কথাই নিতে হবে গুরুত্ব সহকারে। তাদের পাশে থেকে কোনো সমস্যা হলে সমাধানের পথ বাতলে দিতে হবে। প্রয়োজনে কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১১২৯ ঘণ্টা, ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
এসআইএস