বিপণন ও বিজ্ঞাপন খাতে একজন সফল নারী হিসেবে তার পদচারণা, প্রতিকূলতা ও সফলতার গল্প উঠে এসেছে বাংলানিউজের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন খাতে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শও তিনি দিয়েছেন নতুনদের জন্য।
শুরুর গল্প
‘আমি আমার ক্যারিয়ারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ছোট-বড় অনেক ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করেছি। ইউনিলিভারের সানসিল্ক দিয়ে শুরু। এরপর পর্যায়ক্রমে লাক্স, রিন পাওয়ার হোয়াইট, নর স্যুপ, অ্যাকটেল, এয়ারটেল, রবি, গ্রামীণফোন, প্রাণ ও এখানেই ডট কমসহ অনেক ব্র্যান্ড। তবে, প্রথমবারের মতো আমি যে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করি তা হচ্ছে সিঙ্গাপুর ক্যান্সার হাসপাতাল। আমাদের এ পুরো ক্যাম্পেইনটাই হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। কিন্তু আমরা কাজ করি বাংলাদেশে বসে। ’ নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গল্পের শুরুটা এভাবেই করেন মেহের।
মেহের নূর ২০০৫ সালের জুলাই মাসে এশিয়াটিকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগ দেন।
দ্বিধা কাটিয়ে সাফল্য
‘আমি মার্কেটিংয়ে আসি এ পেশাকে ভালোবেসেই। আমার এক ধরনের প্যাশন তৈরি হয়। আর এক্ষেত্রে, এশিয়াটিক অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করেছে। কাজের ক্ষেত্রে এখানে আমাকে কখনওই নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। একজন কর্মী, একজন মানুষ হিসেবেই সবাই আমাকে স্নেহ করেছে, সম্মান দিয়েছে ও ভালোবেসেছে। যেটা আমাকে আরও ভালোভাবে কাজ করার প্রেরণা যুগিয়েছে। ’
কাজে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে মা এবং স্বামী সবসময়ই আমার পাশে ছিলেন। শুরুর দিকে একটা সময় দ্বিধায় পড়ে মনে হয়েছিল, ছেড়ে দেই। কিন্তু পরে আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এরপর তো এ পেশাতেই কেটে গেলো প্রায় দেড় দশক!’
সফলতা অর্জনে প্রয়োজন উদ্যম, একাগ্রতা ও ধৈর্য
পেশার ধরনের কারণেই মার্কেটিং ও অ্যাডভারটাইজিং নিয়ে কাজ করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। সেটা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই।
‘২০১৬ সালে, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ক্যারিয়ারে বিরতি দেওয়ার। তখন আমি এশিয়াটিকে অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর। তো অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর হিসেবেই পদত্যাগ পত্র জমা দিলাম। মনে হলো, আমাকে আরও জানতে হবে। তাই, যুক্তরাষ্ট্রে গেলাম স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করতে। সেখানে জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে স্নাতোকোত্তরে ভর্তি হলাম ‘ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং’ বিষয়ে। পরে, ২০১৮ সালে আবার দেশে ফিরে এশিয়াটিকে যোগদান করলাম এভিপি হিসেবে। ’
‘এ পেশায় চাপ অনেক। তাই, স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্তি আসবে। কিন্তু শেখার ও জানার ইচ্ছা হারালে চলবে না। শিখতে হবে প্রতিনিয়ত। নতুন নতুন বিষয় শেখার এ একাগ্রতা থাকতে হবে। ’
এসআইএস