বেশিরভাগ এলাকায় গড়ে উঠেছে এমন অনেক জিম, যেখানে শুধুমাত্র কয়েকটি ব্যায়ামের যন্ত্র রাখা হয়েছে। তেমন কোনো বিশেষজ্ঞ ছাড়াই সেখানে চলছে দেহ গঠনের যুদ্ধ(!)।
আর দামে কিছুটা সস্তা হওয়ায় এসব জিমে ক্লায়েন্ট পেতেও দেরি হচ্ছে না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্রেনার ছাড়া যেমন খুশি ব্যায়াম করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ব্যায়াম প্রশিক্ষক ও মিস্টার এশিয়া রানার আপ ডা. তুষার শীল বলেন, অনেক জিমেই মানুষ নিজের ইচ্ছেমতো ব্যায়াম করছেন। প্রতিটা ব্যায়ামেরই নির্দিষ্ট ছন্দ এবং নিয়ম রয়েছে। নিয়ম না মেনে ব্যায়াম করলে পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে ভালো থাকার বদলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রত্যেকটা মানুষেরই আলাদা আলাদা শারীরিক গঠন ও শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া থাকে। যার যতটা প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হয়। নয়ত এটি অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
একজন প্রশিক্ষক জানেন কার জন্য কোন ব্যায়ামটা উপযোগী। শারীরিক কোনো সমস্যা আছে কিনা তাও জানতে হয়। তার ডায়েট ঠিক করতে হয় অনেক কিছু বিবেচনা করে।
একজন মানুষের শারীরিক যতটা ক্ষমতা থাকে ব্যায়ামের সময় তার ৭০ শতাংশ পরিশ্রম করা উচিত, এর বেশি নয়। কিন্তু এটি নির্ধারণ করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্যই প্রয়োজন ট্রেইনারের অধীনে থাকা।
এজন্য শুধু দামি মেশিন দিয়ে সাজানো দেখলেই সেই জিমে ভর্তি হওয়া যাবে না। বা এক্সপার্টের সঙ্গে কথা না বলে নিজে নিজে ব্যায়াম শুরু করাও ঠিক নয়।
যদি জিম করতে চান, তবে প্রথমে ভালোভাবে খোঁজ নিতে হবে, এরপর চিকিৎসক ও প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এসআইএস