সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশীয় পোশাক শিল্পের ডিজাইনার এবং ফ্যাশন হাউস মালিকরা। এছাড়াও গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন দেশের ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল সাংবাদিকরা।
মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শেখ সাইফুর রহমান, ডেপুটি এডিটর, প্রথম আলো ডিজিটাল ও ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যানালিস্ট। দেশীয় পোশাক শিল্পের অগ্রগতির অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত হয় নিত্য নতুন ডিজাইনের স্বল্পতা, সুতার অপ্রতুলতা, ফ্যাশন হাউসের বছরান্তে দ্বিগুনেরও বেশি ভাড়া বৃদ্ধি, দেশীয় কাপড়ের অপর্যাপ্ততা ইত্যাদি।
এছাড়াও দেশপ্রেম থেকে কাজ করে যাওয়ার তাগিদ দেন সবাই। এ প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কানিজ আলমাস খান বলেন, সময়ের সঙ্গে নিজেদের আপডেট রেখে ভারত আজ বিশ্ব বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে আমাদের দেশে যেভাবে অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি এবং পণ্য ঢুকে গেছে সেটা আটকানো এখন আর সম্ভব নয়, সময় এখন নিজেদের আপডেট করার। পরিবর্তন দরকার মানসিকতার।
আয়োজনের প্রধান অতিথি বিবি রাসেল বলেন, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের পণ্য মানুষ আজকে থেকে চেনে না। মাঝের কিছু সময় আমরা সৌখিন ব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে গুণগত মান কমিয়ে ফেলেছি। তবে এখন আবার সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়াবার। এখনও এদেশের তাঁতিদের হাতে জাদু রয়েছে। এদের যথাযত ব্যবহার ও পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। দেশীয় সুতা ও কাপড়ের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
বিশেষ অতিথি চঞ্চল মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে কয়েক দফা ফ্যাশনে ভেরিয়েশন এসেছে। এবং সেসব ছিল দেশীয় উদ্যোগে ফ্যাশন ট্রেন্ডের একটা পরিবর্তন। কিন্তু এখন অন্যান্য দেশের ফ্যাশন ট্রেন্ড দেখে এদেশের ফ্যাশন ট্রেন্ড পরিবর্তিত হয়। এটা দু:খজনক। ডিজাইনারদের এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সবশেষে ফ্যাশন সাংবাদিকতা এবং ফ্যাশন শিল্পের যেকোনো কাজে পিআইবি’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান অনুষ্ঠানের সভাপতি পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এসআইএস