নেতিবাচক আবেগের কারণে সম্পর্কে অবিশ্বাস ও হতাশা তৈরি হওয়াও নতুন নয়। অনেক সময় এর ফলে সম্পর্কের সমাপ্তিও হতে পারে দুঃখজনকভাবে।
সবচেয়ে খারাপ বিষয় হচ্ছে এই ধরনের আবেগ আমাদের যোগাযোগের পথে প্রভাব ফেলতে শুরু করে - কেবল একারণেই প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক কতটা অবনতি হতে পারে তা ভেবে দেখতে হবে।
তবে অনেক সময় নেতিবাচক আবেগের কারণ আমাদের হাত থাকে না। যেমন রাস্তার ট্র্যাফিক জ্যাম বা পার্কিংয়ের জরিমানার কারণে বিরক্তি তৈরি হতে পারে। তখন পরিস্থিতি সামলে নেওয়া গেলেও অনিচ্ছাতেই হয়ত খুব সাধারণ কথায় প্রিয়জনের সঙ্গেই রাগ বা বিরক্তি প্রকাশ করে ফেলি। আমরা অনেক সময়ই সচেতন ভাবে এমন আচরণ করি না। তবে যার সঙ্গে করা হয়, তিনি কষ্ট পেতে বা অপমানবোধ করতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ধরনের নেতিবাচক আবেগের ফলে দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর এধরনের আচরণ অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বস্ততাও কমিয়ে দেয়। এতে করে মানুষ বন্ধুহীন হয়ে একাকীত্বে ভুগতে পারে।
যা আমরা কেউই আশা করি না। আর তাই নেতিবাচক আবেগকে প্রশ্রয় না দিয়ে সব সময় ইতিবাচক চিন্তা আর ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। প্রিয়জনের সঙ্গে সব সময় সুসম্পর্ক ধরে রাখতে এরচেয়ে ভালো উপায় আর একটিও নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এসআইএস