অবহেলা
সম্পর্ক যখন বেশ কিছু দিন হয়ে যায়, তখন অনেকেই সঙ্গীকে নানাভাবে গুরুত্ব দেওয়া কমিয়ে দেন। আর প্রিয় মানুষের এই অবহেলা মেনে নিতে পারেন না অনেক নারীই।
সীমা
সহ্য ক্ষমতার একটা সীমা রয়েছে, অনেক সময় সঙ্গী এটা ভুলেই যান। ভাবেন যেভাবেই রাখা হবে বা যে ব্যবহারই করা হোক ভালোবাসার টানেই নারী তাকে ছেড়ে যাবে না। এই অতি-আস্থা এক সময় ভুল প্রমাণিত হয়।
একই রুটিন
আমাদের সমাজে সাধারণত নারীদের স্বপ্নে সুপার হিরো থাকে তার সঙ্গী। কিন্তু কাছে থেকে যখন দেখা যায়, আসলে সে খুবই সাধারণ। তার আচরণ, জীবনযাপন সবই প্রায় একই রুটিনে চলে, এই একঘেয়ে জীবন মেনে নিতে পারেন না অনেকেই।
অভিযোগ
নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে কারোই ভালো লাগে না। কিন্তু পুরুষ সঙ্গীটি অনেক সময় এটা তোয়াক্কা করেন না। দেখা যায় ছোট ছোট বিষয়ে প্রতিদিনই অভিযোগ করতে থাকেন। এই অবস্থায় অনেক নারীই সম্পর্কে থেকে আর সুস্থভাবে শ্বাস নিতে পারেন না। ফলে দমবন্ধ অবস্থা থেকে বের হওয়ার পথ খোঁজেন।
তুলনা
প্রায় সব ক্ষেত্রেই নারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়, বাবা বা অন্য পুরুষের সঙ্গে নিজের সঙ্গীর তুলনা না করতে। কিন্তু পুরুষদের মধ্যেও তার মা, বোন, বন্ধু বা যেকোনো নারীর সঙ্গে তুলনা করার প্রবণতা থাকলে, এটা সম্পর্কের ক্ষতিই করে।
স্বচ্ছতা না থাকা
সঙ্গীর চলাফেরা, কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে এসব সঙ্গীর কাছে লুকানো। আর আয়, কাজের অবস্থা তার সঞ্চয় সব কিছুই যদি আড়াল করার মানসিকতা থাকে, তবে সে সম্পর্ক কী হবে!
এছাড়াও
প্রয়োজনে সঙ্গীকে পাশে না পাওয়া, সবার মধ্যে হেয় করে কথা বলা, তার বিষয়গুলোতে গুরুত্ব না দিয়ে তাচ্ছিল্য করা, মতামতের দাম না দেওয়া, শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেওয়া বা একেবারেই আগ্রহ না থাকা ও সব সময় ক্যারিয়ারকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার জন্যও নারী সঙ্গী নিজেকে গুরুত্বহীন মনে করে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
কেউই চান না সুন্দর একটি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে। বরং কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও সম্পর্কটি ধরে রাখতে চান উভয়ই। সঙ্গীর ওপর রাগ বা অভিমান হলে সরাসরি কথা বলুন। খারাপ লাগা-ভালো লাগাগুলোও জানান। লক্ষ্য রাখুন সঙ্গীর প্রতি আপনার কাজ ও কথায় ভালোবাসা ও গুরুত্ব যেন প্রকাশ পায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এসআইএস