করোনার এই সময়টায় হাতে বেশ সময় রয়েছে? নিজের কথা ভাবুন না একটু বসে। ভালো থাকতে বাইরের চেহারা যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন শরীরের সুস্থতা ও মানসিক স্থিতিশীলতা।
প্রথমেই মনে রাখতে হবে শরীর ভালো থাকলে মন ভালো থাকে। মন ভালো রাখতে গেলে নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। নিয়মিত ব্যায়াম দেবে মানসিক শক্তি আর সুস্থতা।
নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের শরীরটাকেও। চেহারা যদি সুন্দর বা অসুন্দর হয়, তা আমাদের অর্জন কখনোই নয়। জিনগত কারণে একেক জনের চেহারা একেক রকম। আর তাই নিজেকে ভালোবাসতে হবে চেহারা বা ফিগার যেমনই হোক। এসব নিয়ে যদি অসন্তুষ্টি থাকে, তবে কখনোই ভালো থাকা হবে না।
নিখুঁত হওয়ার প্রয়োজন নাই। জীবনে সব কিছু পারফেক্ট পাবেন এটা ভাবলে ভুল হবে। আমির খানকে পারফেকশনিস্ট বলা হয়, কিন্তু সব বিষয়েই আসলে কি তাই?
কিছু মানুষ নিশ্চয়ই আপনার প্রশংসা করেন, সেগুলো সাদরে গ্রহণ করুন। প্রতিদিন ঘড়ি ধরে কিছু সময় নিজের ভালো দিকগুলো কাগজে লিখে রাখুন। কখনোই নিজের অবমূল্যায়ন করবেন না। যারা করে তাদের থেকে দূরে থাকুন।
ভালো-খারাপ অভ্যাস মিলিয়েই মানুষ। অন্যদের মতো আপনারও খারাপ কিছু অভ্যাস রয়েছে। সেগুলো নিয়েও সময় করে একদিন লিখে নিন। এগুলো থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা যেতেই পারে।
পরিকল্পনা করুন, সময় নিয়ে নিজেকে উন্নত করার, বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা শুরু করুন। চেহারার ঘাটতিগুলো যোগ্যতা দিয়ে পূর্ণ করে নিন।
কাজের জায়গা আর ব্যক্তি জীবন আলাদা করতে জানতে হবে। কাজের সময় কাজ আর নিজের সময়গুলো উপভোগ করুন আনন্দ নিয়ে।
মনে রাখবেন, নিজের প্রতি আস্থা হারানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আত্মসম্মানও কমে যায়। কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাব, বদ-মেজাজ, চিন্তা-ভাবনার সীমাবদ্ধতা থেকে বের হয়ে চিন্তার জগতকে আরও বড় করুন।
যেমন আছেন, তেমনই নিজের প্রতি আস্থা রাখুন…জয় আপনারই হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
এসআইএস