মাঠজুড়ে তরমুজ আর তরমুজ। কারো শেষ পরিচর্যা আর কেউ বাজার ধরতে তরমুজ উঠনোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
আকারভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দরে জমি থেকে তরমুজ কিনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে এবার এখানকার চাষিরা পোকা দমনে কোনও কীটনাশক ব্যবহার করেনি। পোকা দমন করেছেন বিষটোপ ফাঁদ দিয়ে। এতে গতবারের চেয়ে ফলনও হয়েছে ভালো আর সাশ্রয় হয়েছে অর্থের।
তরমুজ চাষি সদর উপজেলার সালন্দর গ্রামের মাহাবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বললেন, বেকারত্ব ঘোচাতে আগাম তরমুজ চাষকে বেছে নিয়েছি। ৬০ শতক জমিতে জেসমিন জাতের তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। খরচ বাদে লাভ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। পীরগঞ্জ উপজেলার তরমুজ চাষি পশির উদ্দিন জানান, গত বছর ২ বিঘা জমিতে লাভ করেছি ১ লাখ টাকা। এবার আরও বেশি লাভ আশা করছি। তরমুজ সংগ্রহে রাজধানীর পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখন ঠাকুরগাঁওয়ে। তারা জমিতেই তরমুজ কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে রাজধানীর ব্যস্ততম কারওয়ান বাজারে। রমজান আর ঈদ উপলক্ষে এই তরমুজ এই চহিদাও অনেক।
ঢাকার কারওয়ান বাজারের পাইকার সানোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে এখন তরমুজের চাহিদা রয়েছে। তাই মাঠে তরমুজ ছোট থাকা অবস্থায় কিনেছি। এ পর্যন্ত ৫ ট্রাক কারওয়ান বাজারে বিক্রি করেছি। আরও পাঠাবো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দলিল উদ্দিন জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে অসময়ে তরমুজের চাষ দিন দিন বাড়ছে। স্বল্প সময়ে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা তরমুজ চাষে ঝুঁকে পড়ছে।
অসময়ে তরমুজ চাষ একদিকে যেমন চাহিদা মিটছে, অন্যদিকে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। তাই তরমুজ চাষের আগেই স্বল্পসুদে কৃষিঋণ সহায়তা চেয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২২২০, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১০