ত্রিকোনাসন
পা ছড়িয়ে দাঁড়ান৷ এবার দুই পা একদিকে করে বেন্ড করুন৷ হাত সোজা রাখুন৷ শরীরের সঙ্গে হাতও ওঠানামা করবে৷ লম্বা নিঃশ্বাস নিন৷ একদিকে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। আবার অন্যদিকে করুন৷ এভাবে ছয়বার করুন, এতে হজমশক্তি বাড়বে৷
তদাসন
শুরু করার জন্য তদাসন ভালো ব্যায়াম৷ তদাসনে পেশির ব্যায়াম হয়৷ প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান৷ দুই হাত সোজা করে মাথার ওপরে রাখুন৷ এরপর আস্তে আস্তে গোড়ালি তুলুন এবং নামান৷ এতে হাঁটুর ব্যায়াম হবে৷ হতাশা ও দুশ্চিন্তা কমানোর ক্ষেত্রে খুব উপযোগী এটি৷ পিঠের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রেও এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে৷
বালাসন
শিশুরা ছোট বেলায় যেভাবে সামনের দিকে হেলে হামাগুড়ি দেয়।
চক্রাসন
সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন, আস্তে আস্তে হাঁটু দুটি ভাঁজ করে দুই হাতের জোরে নিতম্বসহ শরীরটি ওপরে তুলুন।
হাঁটু যতটা সম্ভব ভাঁজ করে গোড়ালি হাত দিয়ে স্পর্শ করুন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। এইভাবে ৩০ সেকেন্ড রাখুন, এভাবে পাঁচবার করুন। কোমর ব্যথা, হাঁপানি, লো ব্লাড প্রেসার কমাতে ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম।
পবন মুক্তাসন
পেটের গণ্ডগোল, গ্যাস ও পিঠের ব্যথায় উপকারী। শিরদাঁড়ার নমনীয়তা আনে এবং ঘাড় ও নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ দূর করে।
চিত হয়ে শুয়ে প্রথমে ডান পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে পেট ও বুকের সঙ্গে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরুন। হাঁটু জড়িয়ে ধরার ভঙ্গিতে ডান হাতের তালু বাঁ হাতের কনুইয়ের ওপর এবং বাঁ হাতের তালু ডান হাতের কনুইয়ের ওপর রাখুন। যদি হাতের চেটো দিয়ে অপর কনুই ধরা সম্ভব না হয়, তবে এক হাতের আঙুল অপর হাতের আঙুলে গলিয়ে দিয়ে ধরবেন।
শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে মনে মনে দশ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে তিরিশ গুনুন। এভাবে তিনবার করুন।
আজ থেকেই শুরু করুন আর মাত্র ১০ মিনিট নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করেই, শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক প্রশান্তি নিয়ে করোনার আতঙ্ক দূর করে জীবন উপভোগ করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এসআইএস