আদিলের সকাল থেকে মন খারাপ, কারণ তার বাসার চাবি হারিয়ে গেছে। এদিকে চাবি বানানোর লোক খুঁজে পাচ্ছে না, এই করোনার সময়।
ডায়েরি ও কলম
সময় এখন ডিজিটাল নোটবুকের। কিন্তু খসড়া লেখার জন্য কাগজের বিকল্প নেই। মিটিংয়ের জরুরি তথ্য, ব্যক্তিগত তথ্য কিংবা কাজের ছোটখাটো বিষয় লিখে রাখার জন্য ব্যাগে রাখুন ছোট ডায়েরি ও কলম।
ফোন ও চার্জার
ফোন ছাড়া চলেই না। খেয়াল করুন ফোনটা নিয়েছেন তো! ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া আর ফোন বাসায় রেখে আসা একই কথা। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পড়ে যেতে হয় বাড়তি দুশ্চিন্তায়। যে নারীদের কাজ শেষে বাসায় ফিরতে দেরি হয় তাদের ব্যাগে চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংক রাখাটা তাই জরুরি।
চিরুনি
বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আপনি পুরোপুরি ফিট হয়েই বের হোন। কিন্তু যেকোনো সময়ই খুলে যেতে পারে লক করে রাখা চুল। আর তখনই কাজে দেবে ব্যাগে রাখা চিরুনিটি।
ব্যথানাশক ওষুধ
কাজের চাপ, দীর্ঘক্ষণ ডেস্কটপের আলো চোখে লেগে মাথাব্যথা শুরু হতে পারে যেকোনো মুহূর্তেই। সঙ্গে রাখুন ব্যথানাশক ট্যাবলেট। সাময়িক যন্ত্রণা কাটিয়ে বাসা ফিরতে পারবেন নির্বিঘ্নে।
পারফিউম
সবসময়ের জন্যেই পারফিউম ব্যাগে রাখুন। সুগন্ধি শরীর থেকে গন্ধ দূর করে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
জরুরি কিছু টাকা
ওয়ালেটটি দূর্ভাগ্যবশত হারিয়ে গেলে কিন্তু বাসা পৌঁছানোর টাকাও থাকবে না। ব্যাগের ছোট পকেটে আপদকালীন কিছু টাকা গচ্ছিত রাখুন। বিপদে কাজে আসবে।
চাবি
ঘরের একটি চাবি সব সময় ব্যাগে রাখুন, সারাদিন পরে বাসায় ফিরে যদি দেখা যায়, বাসায় কেউ নাই আর সঙ্গে চাবিও নাই, এরচেয়ে বিড়ম্বনা কমই আছে।
সানগ্লাস
রোদে বের হলে আপনার চোখের সুরক্ষার জন্য অবশ্যই একটি ভালো ব্র্যান্ডের সানগ্লাস রাখুন ব্যাগে।
ন্যাপকিন-টিস্যু
ব্যাগে সব সময় একটি ছোট প্যাকেটে অন্তত এক পিস সেনিটারি ন্যাপকিন ও পর্যাপ্ত টিস্যু রাখুন।
করোনায় সুরক্ষা
করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী যেমন মাস্ক, গ্লোভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
খাবার
বাইরে যাওয়ার সময় কিছু শুকনো খাবার ও ছোট এক বোতল খাবার পানি সঙ্গে নিন।
ব্যাগটি যেহেতু প্রয়োজনের জিনিসগুলো বহন করবে, তাই ব্যাগ কেনার সময় অবশ্যই দেখে-বুঝে কিনুন। যেন মান ভালো হয়, আর পর্যাপ্ত জায়গাও থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২০
এসআইএস