আরে এত মোটা হয়ে যাচ্ছো কেটো (এক ধরনের ডায়েট) করতে পারো না? ফিগার সচেতনতার নামে আধুনিক সমাজে অন্যকে হেয় করার যেন এক ধরনের বাজে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।
আর যাকে প্রতিনিয়ত কথাগুলো বলা হয়, তার জন্য এটা অপমানজনক, এতে করে দেখা দিতে পারে হতাশা তিনি ভুগতে পারেন হীনম্মন্যতায়।
বডি শেমিং করে অনেকেই চান প্রিয়জনের জীবনে ভালো পরিবর্তন আনতে। কিন্তু মানুষকে অপমান করে কি শোধরানো সম্ভব? এসব করে তার তো লাভ খুব একটা হয় না। বরং বডি শেমিং-এর শিকার হয়ে তিনি অনেক সময় জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে প্রতি বছর আমেরিকাতে প্রায় কয়েক লাখ মানুষ প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন চেহারা সুন্দর করতে এবং নারীরা স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করতে। এরসঙ্গে ছেলেদের জন্য রয়েছে সিক্সপ্যাক ফিগার, মেয়েদের বিজ্ঞাপনের মডেলের মতো স্কিন, কালার, ফিগার।
কিন্তু একবারও কি ভেবেছেন, বিজ্ঞাপনে যে ছবিগুলো আমরা দেখি, তা প্রথমে কয়েকঘণ্টায় মডেলকে মেকআপ করা হয়। অনেক লাইটের ব্যবহার হয় ছবি তোলার সময়। ছবি তোলেন দেশের নামকরা ফটোগ্রাফাররা, এরপর হয় আসল কাজ, মানে শত শত ছবির ভেতর থেকে বেছে নেওয়া হয় মাত্র কয়েকটি, এগুলোকে এডিট করা হয় যত্ন নিয়ে ও সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে। এবার সেই ছবিগুলোই মিডিয়াতে আমরা দেখি।
যত কথাই বলা হোক, বন্ধু-আত্মীয় বা কলিগ যেই এভাবে হেয় করে কথা বলবেন, ভুক্তভোগীর কাছে তিনি কখনোই প্রিয় থাকতে পারেন না।
যিনি যেমন আছেন, সেভাবেই তাকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে থাকতে সাহায্য করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
এসআইএস