চলার পথে বিশেষ করে করোনাকালে আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সচতেন। তারপরও কিছু ছোট বড় সমস্যার মুখোমুখি প্রায় প্রতিদিনই পড়তে হয় আমাদের।
আসুন জেনে নিই, কোন সমস্যার সমাধানের রহস্যময় শক্তি প্রকৃতির কোথায় লুকিয়ে রযেছে:
কালোজিরা
মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ বলা হয় কালোজিরাকে। স্থুলতা, ক্যান্সার ও হৃদরোগ সব কিছুর বিরুদ্ধেই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কালোজিরা । সাধারণ সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, জ্বর, যেকোনো ধরনের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেও কালোজিরার জুড়ি নেই। এছাড়া সেক্স হরমোন ক্রিয়াকলাপ এবং নিউরোজেনারেটিভ কার্যকরিতা বাড়ে কালোজিরা খেলে।
মধু
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। দ্রুত ক্ষত সারাতে সাধারণ জ্বর সর্দি-কাশিতে মধু ওষুধের মতোই কাজ করে।
আদা
মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ঠান্ডা লেগে কাশির চিকিৎসায় আদা ব্যবহার হয়ে আসছে।
আনারস
আনারসের জুস কফ/কাশির সিরাপের চেয়ে ৫ গুণ বেশি কার্যকরী। একই সঙ্গে এটা ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ করে।
ভিটামিন 'বি-১২
ভিটামিন 'বি-১২ স্তন, কোলন, ফুসফুস ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ভিটামিন 'বি-১২' এর অভাব পূরণে বিভিন্ন রকম মাংস, মাছ, বাদাম, ডিম, দুধ, মাখন, সবজি খেতে হবে নিয়মিত। এছাড়া বৃষ্টির পানিতেও এই ভিটামিন রয়েছে।
বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তায়
ওজন বেশি হলে কোনো কিছু খাওয়ার আগে যারা খুব চিন্তায় থাকেন, জেনে নিন, গাজরে কোনো ধরনের ফ্যাট/চর্বি নেই। শসার ৯৬ শতাংশই পানি। আর তাই এগুলো খেলে ওজন বাড়ার চিন্তা করতে হবে না।
ধূমপানের ক্ষতি কমাতে
ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্ষতি প্রতিরোধ করে ব্ল্যাক টি (গাঢ় কালো চা)। নিয়মিত খেতে পারেন পাকা টমোটোও।
অ্যাসিডিটি
খাবারের পর লবঙ্গ চুষে খেলে অম্লতা বা গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
বিষণ্নতা রোধে
ভিটামিন-ডি এর অভাবে বিষণ্নতা, ডিমেনশিয়া (ভুলে যাওয়া রোগ) এমনকি অটিজম পর্যন্ত হতে পারে। ভিটামিন ডি-র বড় উৎস গরুর দুধ, মাশরুম, ডিম, পালং শাক, টকদই ও কমলা। আর দিনে অন্তত ১০-১৫মিনিট রোদে কাটান।
ডিম কেন সুপার ফুড!
জানেন তো, একটি ডিমে কেবল ভিটামিন সি ছাড়া অন্য সব ভিটামিন রয়েছে।
এই মহামারি করোনাকালে আস্থা রাখি প্রকৃতিতে। আর সুস্থ থেকে উপভোগ করি জীবনটাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এসআইএস