যাদের দিকে তাকালে প্রথমেই বড় একটি পেট চলে আসে চোখের সামনে, তারাই জানেন এই পেটের মেদের ভোগান্তি। করোনায় বাইরে যাওয়া কমেছে, কিন্তু ঘরেই বেড়েছে খাওয়া দাওয়া।
বেশ তো এবারের মিশন তাহলে মেদহীন পেট! আজ থেকেই শুরু করুন:
সহজ দিয়ে শুরু
শুরু করুন সহজভাবে – প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন আপনি আসলে পেটের মেদ কমাতে চান। এরপরই সারাদিনের জন্য কঠিন কঠিন ব্যায়াম করতে শুরু করবেন না। হালকা হাঁটা, দু’চার বার বুকডন দিয়েই শুরু করুন মেদ কমানোর মিশন।
ওয়ার্ম আপ
আমরা অনেকেই ব্যায়াম করার আগে ওয়ার্ম আপ করার সময় দিতে কার্পণ্য করি। কারণ আমাদের ধারণা এই সময়টা শুধু শুধু নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যে, ওয়ার্মআপপের মাধ্যমে আমাদের শরীরের পেশিগুলো ব্যায়াম করার উপযোগী হয়। আর সঠিক ওয়ার্মআপ করলে ব্যায়ামের সময় আঘাত(ইনজুরি) থেকে রক্ষা করে। ওয়ার্মআপ করতে আমরা হাঁটতে পারি। অথবা বসে সামনে ঝুঁকে হাত দিয়ে পায়ের আঙুল স্পর্শ করতে পারি।
শ্বাস
আমাদের শরীরের পেশিগুলোর পূর্ণ ক্ষমতা কাজে লাগাতে চাইলে মনে রাখুন এজন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অক্সিজেন। গভীরভাবে শ্বাস নিন। বিশেষ করে যখন আপনার চারপাশে থাকে অনেক সবুজ গাছ...
মনোযোগ
ব্যায়াম করার সময় শুধুমাত্র আপনার পেশি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন, তাহলে কিন্তু আপনি ভুল করছেন। এক্ষেত্রে আমাদের মনোনিবেশ করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। শরীরচর্চা করার সময় টিভি দেখার পরিবর্তে ব্যায়ামে মনোযোগ দিন।
গাছ
শক্তিশালী অ্যাবস ও ভারসাম্য বাড়ানোর জন্য আপনি গাছের মতো একপায়ে দাঁড়াতে পারেন। যখন একপায়ে দাঁড়াবেন আপনার হাত মাথার ওপরে সোজা করে রাখুন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম
সুঠাম দেহ ও মেদহীন পেট পেতে হলে আমাদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। শুধুমাত্র কাজ করা, ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে সাহায্য করবে না বরং বিশ্রামের সময়ই পেশি মজবুত ও সুগঠিত হয়।
কী খাচ্ছেন
স্লিম ফিগার, মেদহীন পেট চাইলে খাবারে বিষয়ে অবশ্যই সর্তক হতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে যেমন অতিরিক্ত তেল, মশলা, লাল মাংস, ফার্স্টফুড, রিচফুড রাখা যাবে না, তেমন প্রচুর পানি পান, তাজা ফল ও সবজি, কম চর্বির দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার প্রতিদিন খেতে হবে।
ধীরে ধীরে
দ্রুত ব্যায়ামের চেয়ে ধীর গতীর ব্যায়ামেই আমাদের চর্বি দ্রুত কমে। তাই ব্যায়াম করার সময় প্রতিটি পদক্ষেপ ধীরে ধীরে করুন।
যোগব্যায়াম
করোনার সময় জিমে যেতে চান না? তাহলে ঘরেই যোগব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। অধিকাংশ যোগব্যায়ামের চমৎকার অঙ্গ-ভঙ্গি আমাদের শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে আমরা মানসিক চাপমুক্ত থাকতে পারি।
ওজন
খুব ভালো হয় যদি আমরা নিজেদের ওজন কমানোকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে পারি। যেমন নির্দিষ্ট ৭ দিন সময়ের মধ্যে মাত্র এক পাউন্ড ওজন কমাবেন সেভাবে চেষ্টা করুন। আর সপ্তাহ শেষে ওজন চেক করে নিন। যখন আপনি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন। তখন আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। এভাবেই ধীরে ধীরে শরীরের সব বাড়তি ওজন দূর হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েটের মাধ্যমেই আমরা পেতে পারি স্বপ্নের কাঙ্ক্ষিত মেদহীন পেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
এসআইএস