একেবারেই সুস্থ কোনো ধরনের সামান্যতম উপসর্গও নেই করোনা হওয়ার মতো। তারপরও অফিসের কড়া নিয়ম ছুটি শেষে ফিরে এসে একবার করোনার পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়ে তবেই অফিসে কাজ শুরু করা যাবে।
এমনটি অনেকের ক্ষেত্রেই হচ্ছে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকায় মহামারি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেভাবে অসুস্থ করতে পারে না। তবে সবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা সমান না। আর করোনা সংক্রমিত হয় নানা ভাবে, এজন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, করোনা পজিটিভ হলে, কোনো উপসর্গ না থাকলেও অবশ্যই তাকে হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে।
উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তরা বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদের বেশ কিছু নিয়মনীতি কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে:
• হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড আক্রান্তের সঙ্গে দেখা করতে কেউ আসতে পারবেন না
• রোগীকে অকারণে আতঙ্কিত না করা
• মানসিকভাবে সাহস দেওয়া ও রোগীর খাবারসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু সময়মতো দিতে হবে
• তাকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে
• বাড়ির কেউ আক্রান্ত ব্যক্তির ঘরে যাবেন না
• প্রয়োজনে বা তাকে সঙ্গ দিতে ভিডিও কলে সময় কাটাতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে কোভিডের উপসর্গগুলো হচ্ছে, কাশি শ্বাসকষ্ট, পেশি-সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা, ক্লান্তি, মাথার যন্ত্রণা, গলাজ্বালা, স্বাদ ও গন্ধহীনতা। যদি এগুলোর মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে তবে, ঘরে থাকার পাশাপাশি ঘরোয়া চিকিৎসা এবং ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময় ০৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২০
এসআইএস