করোনার সময়ে শত কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়েছে অনলাইনে। যার বেশিরভাগই ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়ে নারীরা পরিচালনা করছেন।
অনলাইনে মূলত পোশাক, ঘর সাজানোর নানা পণ্য ও ঘরে তৈরি খাবারের চাহিদা বেশি। আর ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে উদ্যোক্তারাও সেভাবেই সেবা দিয়ে থাকেন। বেশির ভাগ পণ্য ক্যাশঅন ডেলিভারিতে পাওয়া যায়। তার মানে পণ্য বুঝে পেয়ে এরপর টাকা দিতে হয়। এজন্য পণ্যের মান নিয়ে তেমন সংশয় থাকে না। তবে এতো ভালো কাজের মধ্যেও কিছু কিছু বিড়ম্বনা দেখা যায়, যা সত্যি দুঃখজনক।
এমনই একটি ঘটনা জানিয়েছেন উদ্যোক্তা Moushumi's Dine-এর স্বত্তাধিকারী শারমিন মৌসুমী। তিনি বলেন, একজন ক্রেতা ফ্যান পেজের ইনবক্সে জানান, তার এক কেজি মালাই জর্দা লাগবে। কথা অনুযায়ী অর্ডার কনফার্ম হলো। আমি অর্ডারের প্রস্তুতি নিলাম। সব রেডি করে ডেলিভারি ম্যান নিয়ে গেল খাবার,নিয়ে যাওয়ার আগে ফোন করে কথা বলা হলো ক্রেতার সঙ্গে। কিন্তু সেই ঠিকানা খুঁজে না পেয়ে বার বার ফোন করা হলেও তিনি আর রিসিভ করেন নাই। খাবার নিয়েই চলে আসেন ডেলিভারি ম্যান।
শারমিন বলেন, আমি যদি ড্রেস বা অন্য সব পণ্য নিয়ে কাজ করতাম তাহলে ডেলিভারি ম্যানকে ডেলিভারি চার্জ দিয়ে দিলে খারাপ লাগতো না। কিন্তু আমি হোম মেইড খাবার নিয়ে কাজ করি। বাজার করে, কষ্ট করে রান্না করতে হয়। ছোট দু’টি বাচ্চার দেখাশোনা এরপর সংসারের সব কাজ একাই করি।
এমন অবিবেচক মানুষ খুব একটা নাই আমাদের সমাজে। কিন্তু এই দু’-একজনের কারণে মানুষের ওপর আস্থা নষ্ট হয়। আর তাই আমরা যেমন আশা করি কষ্টের টাকায় সবচেয়ে ভালো পণ্য পাওয়ার, ঠিক তেমনি আমাদের দায়িত্ব, কিছু অর্ডার করলে সঠিক ঠিকানা দেওয়া, সময়মতো ফোন রিসিভ করা ও পণ্যটি বুঝে পেয়ে ধন্যবাদ জানানো। পণ্যের প্রশংসা করা ও উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করা।
মনে রাখতে হবে, আমরা ভালো ক্রেতা হলেই, উন্নতমানের সেবা পেতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২০
এসআইএস