প্রযুক্তির এই সময়ে স্মার্টফোন-ট্যাবলেটসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো দারুণ জনপ্রিয়। তবে প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের জীবন ও সম্পর্ককে যান্ত্রিক করে তুলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন-ট্যাব বা এ জাতীয় হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইসেই আমাদের অধিকাংশ সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে চাপ পড়ছে মেরুদণ্ডে, পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পিঠ-ঘাড়-চোখ।
অতিরিক্ত মাত্রায় এসব ডিভাইস ব্যবহারের ফলে প্রভাব পড়ছে ঘুমে। কারণ অধিকাংশ সময় এসবের পেছনে ব্যয় করার ফলে তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে না। যার ফলে তারা হাইপারঅ্যাক্টিভিটি জটিলতায় ভোগেন অনেকে। হাইপারঅ্যাক্টিভিটি হলো মনোযোগের অতিরিক্ত ঘাটতিজনিত চঞ্চলতা, যা কোনো চিন্তা ছাড়াই কোনো একটি কাজ বারণ সত্ত্বেও বারবার করতে ইচ্ছা করে।
মূলত ঘুমের বিকল্প কিছু নেই। আর এজন্য রাতে বিছানায় যাওয়ার অন্তত দু’ঘণ্টা আগে ওয়াইফাই কিংবা মোবাইল ফোনের ডাটা কানেকশন বন্ধ রাখুন। মূলত প্রয়োজন ছাড়া কখনোই এসব ডিভাইস চালু রাখা ঠিক না। চব্বিশ ঘণ্টা এসবের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা শরীরের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মানসিক অবস্থার জন্য ক্ষতিকর।
ডিভাইস থেকে দূরে যাওয়ার পর আমাদের মস্তিষ্কের স্থির হয়ে ঘুমের জন্য প্রস্তুত হতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লেগে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চোখে ঝাপসা দেখাসহ রেডনেস, ড্রাই আই সিনড্রোম ও হেস্টেন নেয়ারসাইটনেস নামক এ জাতীয় রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কম ঘুম ও স্ক্রিনে অতিরিক্ত সময় তাকিয়ে থাকার ফলে। বিশেষ করে বেশি ক্ষতি হয় রাতে ঘুমানোর সময় ঘরের বাতি বন্ধ করে যখন আমরা ডিভাইসের পর্দায় চোখ বুলাই।
অনেকেই ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে, তারা মনে করেন স্মার্টফোন ছাড়া জীবন ধারণ সম্ভব নয়। কিন্তু মাত্র ২০ বছর আগের কথা মনে করে দেখুন, তখন তো মানুষের সময় কাটাতে কোনো সমস্যা ছিল না। তবে এখন কেন আমরা এতটা নির্ভর করছি?
অ্যাক্টিভ থাকতে, সুস্থতার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। রাত ১১ টার মধ্যে বিছানায় যাওয়ার অভ্যাস করুন। আর তাই রাত নয়টার মধ্যেই ডিভাইস থেকে দূরে যান।
ঘুম না এলে ডিভাইসে সময় কাটানো যাবে না। এতে ঘুম আরও দূরে চলে যাবে। আবার ঘুমের ওষুধ খাওয়াও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
এসআইএস