ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রায় সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। নদী ও সমুদ্র বন্দরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। পর্যাপ্ত নগদ টাকা ও খাদ্যসামগ্রী মজুদ আছে। মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ চিহ্নিত করে তা দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এলাকাগুরোতে প্রচারণার কাজও শুরু হয়েছে।
প্রাকৃতিক এমন দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের যেসব সচেতনতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন:
- ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, আবহাওয়ার সতর্ক বার্তা প্রচার করতে হবে
- নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা
- আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় সাগর ও নদীতে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে হবে
- মহামারি করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে নিতে ভুলবেন না
- ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন সম্ভাব্য এলাকা স্বাভাবিকের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বসে প্লাবিত হয়। নিচু এলাকায় পাকা দালানে থেকেও বিপদ হতে পারে
- সুতরাং কর্তৃপক্ষ সংকেত দেওয়ার পর সরে যেতে বললে দেরি না করে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে হবে
- আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় টর্চ লাইট, দেয়াশলাইসহ মোমবাতি, শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্গে নিতে হবে।
- ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি, তার রাস্তায় পড়ে যেতে পারে এজন্য বিশেষ করে রাতে রাস্তায় বের হলে অবশ্যই সাবধানে যেতে হবে।
- যারা ট্যুরিস্ট আছেন, নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন।
দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকতে পারে। যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে রাখুন।
সচেতন হোন, সবাই নিরাপদে থাকুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
এসআইএস