নন্দিনী ডানাকাটা পরী নয়। কিন্তু অনেকের ভেতরেও তার বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থিতি নজর কাড়ে।
তারপর মেধার জোরে এক লাফে প্রজেক্ট ম্যানেজার। এর মধ্যে অফিসের কাজে দু’বার আমেরিকা ও একবার সুইডেন সফর হয়ে গেছে, তবে সেখানে তেমনভাবে মনভরে ঘুরতে পারেনি। এই দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোই নন্দিনীর জীবনের স্বপ্ন। একদিকে রোজগার টা তো চাই, কিন্তু অফিস-সারাদিন বসা চাকরিও যে আর এই ভবঘুরে মনে সয় না। তাহলে উপায়টা কী?
কেন, ওয়ার্কেশন আছে না? ওয়ার্কেশন হলো ওয়ার্ক, অর্থাৎ কাজ ও ভ্যাকেশন অর্থাৎ ছুটি। এই দুইয়ের সন্ধি। কাজও করবো আবার সেই সঙ্গে ছুটিও কাটাবো। ইংরেজি প্রবাদে যাকে বলে - have the cake and eat it too.
এই ব্যাপারটা করোনার আগেও ছিল। কিন্তু করোনার প্রকোপে ওয়ার্কেশন এক নতুন মাত্রা নিয়েছে। হুট করে খুলে গেল এক নতুন দিগন্ত। কেমন করে?
করোনার জন্য বিশ্বজুড়ে বহু সংস্থা ওয়ার্ক ফ্রম হোম, অর্থাৎ বাড়ির থেকেই অফিসের কাজ করার রেওয়াজ চালু করে দেয়। অনেকের খেয়াল হচ্ছে, আরে, বাড়িতে বসেই যদি অফিসের কাজ করা যায় তাহলে কোনো সমুদ্রের তটে বসে কেনো তা করা যাবে না? কিংবা কুয়াশাচ্ছন্ন এক পাহাড়ের কোলে বসে?
সংযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে অনেক ধরনের কাজ, বিশেষ করে বহু তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কাজ, একটা ল্যাপটপ আর ভালো ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই করা যায়। এখন অনেক হোটেল, রিসোর্টও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করছে।
অনেকেই শহরের ভিড়-ব্যস্ততা পেছনে ফেলে ওয়ার্কেশনের ডাকে সাড়া দিতে পারেন। কখনো সবুজ পাহাড়ি উপত্যকায় অথবা সমুদ্রে যেখানে অস্তমিত সূর্য তার রঙ উজাড় করে দেয় উত্তাল ঢেউয়ের দোলায়।
লেখা: আশীষ দত্ত
(ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও লেখক)
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২১
এসআইএস