সদ্যজাত সন্তানক বাবা-মা যতটা সম্ভব আদর যত্নে রাখতে চান। এই সময়ে সন্তানের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে প্রতি দিনই প্রয়োজন হয় ডায়াপারের।
আসুন জেনে নেই-
বাজারে যে ডায়াপারগুলো পাওয়া যায়, তা নিয়ে করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, অধিকাংশ ডায়াপারে ব্যবহার করা হয় এমন একটি উপাদান যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ফ্যালেট। এই ফ্যালেট শরীরের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
দিল্লির একটি সংস্থার করা ওই সমীক্ষা বলছে, ভারতে উৎপাদিত অধিকাংশ ডায়াপারের মধ্যে মিলেছে ডিইএইচপি, যেটি সবচেয়ে খারাপ ধরনের ফ্যালেটের মধ্যে একটি। সরকারিভাবে এই পদার্থের ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সংস্থার উৎপাদিত ডায়াপার ও অন্যান্য সামগ্রীতে ২.৩৬ পিপিএম থেকে ২৬৪.৯৪ পিপিএম পরিমাণে এটি পাওয়া গেছে। ভারতে উৎপাদিত একাধিক সংস্থার শিশুপণ্যে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ ধরনের ফ্যালেটের উপস্থিতির কথা জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্যালেট এমন এক ধরনের পলিমার যা ডায়াপার থেকে সহজেই ত্বকের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। যেহেতু ডায়াপার দীর্ঘক্ষণ ধরে শিশুদের ত্বকের সংস্পর্শে থাকে, তাই এই ধরনের উপাদান দেহে প্রবেশ করার আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেকটাই। ফ্যালেট দেহের বিভিন্ন গ্রন্থির ক্ষরণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
এছাড়া, দেখা দিতে পারে ডায়াবিটিস, উচ্চরক্তচাপ, স্থূলতা এবং প্রজনন তন্ত্রের সমস্যাও। এই ধরনের কোনো পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, সন্তানের জন্য ডায়াপার কেনার আগে তা দেখে নিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২২
জেডএ