দু’জনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেকোনো এক জনের আচরণ টক্সিক হলে সম্পর্কটা আর সুন্দর থাকে না। খুব স্বাভাবিকভাবেই সেটি বিষাক্ত হয়ে যায়।
কিছু অভ্যাস আছে যেগুলোকে আমরা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক মনে করি, কিন্তু বাস্তবে তা নাও হতে পারে। যে কারণে দু’জনের পক্ষ থেকেই ভুলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। সমস্যার শেকড় আর তারা খুঁজে পান না। মূল সমস্যা হলো ক্ষতিকর অভ্যাস বা টক্সিক আচরণকে স্বাভাবিক মনে করা।
জেনে নিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বলে মনে হলেও কোন আচরণগুলো আসলে ক্ষতিকর-
ভুল-ত্রুটির হিসাব রাখা: সঙ্গী যা করেছে তার হিসাব রাখা যাতে তাকে পরে মনে করিয়ে দেওয়া যায়, এটি খুবই খারাপ একটি অভ্যাস। কে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভুল করেছে, দোষ করেছে ইত্যাদি মনে রাখা পরবর্তীতে খুব বিষাক্ত হয়ে ওঠে। অতীতের জিনিসগুলোকে সামনে আনা থেকে বিরত থাকুন, যেগুলোর সঙ্গে বর্তমানের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই।
সঙ্গীকে দোষারোপ করা: খারাপ দিন কাটানোর জন্য সঙ্গীর ওপর দোষ চাপানো ঠিক নয়। সারাদিন আপনার প্রতি সহানুভূতি দেখানোর জন্য সে বাধ্য নয়। বিভিন্ন পরিকল্পনার জন্য তাকে জোর করবেন না। আপনি তার পাশে বসে সিনেমা দেখতে চান এর মানে এই নয় যে সেও সব সময় এমনটা চাইবে। দু’জনের পরিকল্পনা মিলে গেলেই কেবল তা বাস্তবায়ন করুন। একপাক্ষিক পরিকল্পনা করে দিনটি নষ্ট হলে তার জন্য সঙ্গী দায়ী করবেন না।
খুব ঈর্ষান্বিত হওয়া: আপনার সঙ্গী যখন অন্য কারও সঙ্গে কথা বলে, তাদের পাশে বসে তখন যদি আপনি চরম ঈর্ষা দেখান, তবে জেনে রাখুন যে এটি মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। কেউ কেউ এই কাজগুলোকে সত্যিকারের ভালোবাসা এবং সুন্দর বলে বিশ্বাস করে। আসলে তা নয়। এটি কেবল আপনার ঈর্ষান্বিত দিকই প্রকাশ করে।
সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া: যখন একটি সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা থাকে, তখন তা উপহার দিয়ে সমাধান করা কিংবা একসঙ্গে কিছু ভালো সময় কাটানো কোনো উপকার করে না। সমস্যার বিষয়ে পরস্পর খোলাখুলি কথা বলতে হবে এবং সমাধান করতে হবে। সমস্যা আড়াল করে রাখলে তা পরবর্তীতে বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
জেডএ