ঢাকা: সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে পণ্য আনা নেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে আসছে কাদের কার্গো অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে মালয়েশিয়াতেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যে এ সেবা চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবাসীরা এখন আকাশ ও জল পথে পণ্য আনা নেওয়া করতে পারবেন। দেশের যে কোনো জেলায় ‘ডোর টু ডোর’ সেবা দিচ্ছে কাদের কার্গো। ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয়। আর মালামাল নষ্ট বা হারিয়ে গেলে একশতভাগ ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
চিঠিপত্র বা কোনো জরুরি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ফাইলের ওজন ২০০ গ্রামের মধ্যে থাকলে মাত্র ৬০ রিঙ্গিতে (১৫০০ টাকা প্রায়) ঢাকার উত্তরা অফিসে পৌঁছে দেওয়া হয়। আরো ১০ রিঙ্গিত খরচ করলে যে কোনো জেলার যে কোনো প্রান্তে চিঠি পৌঁছে দেয় কাদের কার্গো।
মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, এলসিডি মনিটর বা এলইডি মনিটর দেশে পাঠাতে ৮৫ রিঙ্গিত থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ রিঙ্গিত খরচ হয়।
সাধারণ মালামালের ক্ষেত্রে ওজন ২০১ কেজির ওপরে হলে প্রতি কেজির জন্যে খরচ হয় মাত্র ১৪ রিঙ্গিত করে। তবে ৩ কেজির নিচে পণ্যের জন্যে কেজি প্রতি খরচ পড়ে ৭৫ রিঙ্গিত। ভিন্ন ভিন্ন চার্জে এলসিডি এবং এলইডি টিভিও পাঠানো যায়।
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে ওঠা বাংলাদেশি মালিকানাধীন কার্গো প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ রক্ষার্থে কাজ করার প্রত্যয় নিয়েই কাদের কার্গো অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের যাত্রা। মালয়েশিয়ায় কার্গো প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও যুগোপযোগী, গতিশীল ও নির্ভরযোগ্য সেবা সংস্থা হিসেবে সেবাগ্রহীতাদের সামনে উপস্থাপন করা কাদের কার্গো অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের অন্যতম লক্ষ্য।
গত ১৬ অক্টোবর কুয়ালালামপুরের কোতোরায়াতে জালান সিলান বাংলা মার্কেটে কাদের কার্গো অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের মালয়েশিয়া শাখা উদ্বোধন করেন সিঙ্গাপুরের সফল ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি কার্গো ব্যবসার মূল সেবা গ্রহীতা হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মালিকানাধীন কার্গোর মাধ্যমে সপ্তাহে অন্তত ১৪ থেকে ১৫ টন মালামাল দেশে পাঠান প্রবাসীরা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমানে কার্গো স্পেইসের অভাব, ফ্লাইট শিডিউল এবং অপরিকল্পিত অফলোডের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা আমাদের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারি না। এসব সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিমানের সঙ্গে আলোচনা করছি। এখন আর আলাদাভাবে নয়, সম্মিলিতভাবে এই সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার চেষ্টা করবো।
গত এক দশকের বেশি সময় থেকে দেশে-বিদেশে কার্গো ব্যবসার প্রসার ঘটছে। দিনে দিনে কার্গো ব্যবসার প্রতি ব্যবসায়ীরা যেমন মনোযোগী হচ্ছেন, ঠিক তেমনি বাড়ছে প্রবাসীদের মালামাল প্রেরণের চাহিদাও। তবে সেবা গ্রহীতার সচেতনতা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর দক্ষতার অভাবে বিভিন্ন সময় নানামুখী অসুবিধা পোহাতে হয় সবাইকে।
কাদের বলেন, এ খাতে ব্যবসার পরিধি বিশাল। শুধু বাংলাদেশে মালামাল প্রেরণই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমদানি রফতানি এবং কুরিয়ার সেবাও প্রদান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, প্রবাসে বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের জন্য এটি সম্ভাবনাময় একটি খাত। সিঙ্গাপুরে আমরা প্রবাসীদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। মালয়েশিয়াতেও প্রবাসীদের চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারবো।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে কার্গো এজেন্ট হওয়ার জন্য ০১৬৬১১৪০২৪/০১৬৬১১৫২৯০ এই নম্বরে যোগাযোগ করাতে পারবেন আগ্রহীরা।
এছাড়া বিস্তারিত জানতে সরাসরি মেইল করা যাবে [email protected] এই এড্রেসে। সিঙ্গাপুরে ৬৫৯১৪২৭২২১ নম্বরে ফোন দিয়েও জানা যাবে কাদের কার্গোর সুযোগ সুবিধার বিষয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৪