ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

হঠাৎ অনমনীয় মালয়েশিয়া পুলিশ, আতঙ্কে প্রবাসীরা

কায়সার হামিদ হান্নান, মালয়েশিয়া থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৪
হঠাৎ অনমনীয় মালয়েশিয়া পুলিশ, আতঙ্কে প্রবাসীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুয়ালালামপুর: মালয়েশিয়ায় সদ্য নিয়োগ পাওয়া ইমিগ্রেশন পরিচালক দাতুক মোস্তফা ইব্রাহিমের এক ঘোষণায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

অবৈধ অভিবাসী ধরতে ইব্রাহিমের কঠোর অভিযানের ঘোষণা এখন মালয়েশিয়ার অভিবাসীদের কাছে সবচেয়ে বাজে খবর।

কারণ এখানে অবৈধ অভিবাসী ছাড়াও মালিকের প্রতারণা, হাইকমিশনের কর্মদীর্ঘতা এবং অন্যান্য কারণে অনেক বৈধ শ্রমিকের কাছেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবসময় কাছে থাকেনা।

ইব্রাহিমের এ ঘোষণা মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোতে বেশ ফলাও করে প্রকাশ হয়েছে। অবৈধ এবং কাগজপত্র নবায়নজনিত সমস্যায় থাকা বাংলাদেশিরা কী করবেন, কোথায় যাবেন; এ নিয়ে ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে প্রচুর অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক ধরা পড়ায়, প্রবাসীদের মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। এরই মধ্যে ঘোষণা আসে, বড় ধরনের অভিযানে মাঠে নামছে পুলিশ।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশি অর্দশিত এলাকায় বিশেষ করে কোতারায়া বাংলা মার্কেট, মসজিদ  জামেক, চৌকিতে ব্যাপকহারে  বাংলাদেশিদের ধর পাকড়ের খবর পাওয়া গেছে। এলআরটি, বাসস্ট্যান্ড, বড় বড় শপিং মলে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষণীয়।

প্রবাসীরা ধারণা করছেন, ইমিগ্রেশন পরিচালক দাতুক মোস্তফা ইব্রাহিম যেহেতু নতুন, সেক্ষেত্রে কিছুদিন বেশ তোড়জোড় থাকবে। ইব্রাহিম বলেছেন অবৈধরা আমাদের দেশে বড় সমস্যা।

আতঙ্কগ্রস্ত এক হতভাগা শ্রমিক বাংলানিউজকে বলেন, ভিসা করতে এজেন্টকে দিয়েছি ,কিন্তু আমার এজেন্ট টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। মালয়েশিয়ায় কঠোর অভিযানের সংবাদে আমিও চিন্তিত।

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে এশিয়ার অভিবাসীদের সংগঠন ক্যারাম এশিয়া।

সংগঠনটির আঞ্চলিক সমন্বয়কারী হারুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন , বৈধতার জন্য কাগজপত্র নিয়ে একটি মধ্যস্বত্বভোগী গোষ্ঠীর কাছে গিয়েই বিপাকে পড়েছেন এ শ্রমিকরা। এজেন্টদের কারণে এভাবে আমাদের শ্রমিকরা প্রতারিত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, দেশটিতে এখনও নানা কাজে বিদেশি শ্রমিক প্রয়োজন হয়। ঠিক কী কারণে মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠাতে এমন অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে হতে পারে দেশটিতে ইদানিং নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় সরকার অভিবাসীদের দায়ী করছে। এ কারণেই সরকার হয়তো অবৈধ শ্রমিকদের সংখ্যা কমাতে চাইছে।

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাইনারি ইউনিভার্সিটির ছাত্র সৈয়দ মিনহাজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আগামী মাসের গোড়াতেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালয়েশিয়া সফরে আসছেন। আশা করি, শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবেন।

মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের প্রবাসীদের কাছ থেকে জানা যায়, মালয়েশিয়া পুলিশ এখন আগের তুলনায় নমনীয় নয়। এখন কোনো রকম কৈফিয়ত শুনতে নারাজ তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ