ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

আইটি ক্ষেত্রে সম্ভাবনা বাড়ছে মালয়েশিয়ায়

মাহমুদ খায়রুল, কুয়ালালামপুর করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৪
আইটি ক্ষেত্রে সম্ভাবনা বাড়ছে মালয়েশিয়ায়

ঢাকা: ২০১৪’র মালয়েশিয়ার সঙ্গে বিশ বছর আগের মালয়েশিয়ার আকাশ-পাতাল পার্থক্য। জঙ্গলে মোড়ানো স্থানগুলোতে এখন উঁচু উঁচু দালানকোঠা।



শুধু নগরায়ন নয়, প্রযুক্তির দিক দিয়েও অনেক এগিয়েছে মাহাথির বিন মোহাম্মদ’র হাতে গড়া মালয়েশিয়া। আর সে সঙ্গে বেড়েছে সুযোগ ও সম্ভাবনা।

ইন্টেল, সনি, স্যামসাংয়ের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন মালয়েশিয়ায় বসেই তাদের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।

প্রসেসর, মাইক্রোচিপ, এলইডি সেন্সর, মোবাইল চিপ’র ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে এখানে। সফটওয়্যার খাতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নতুন ও উন্নতমানের প্রকল্প। গ্রাফিক্স ডিজাইনেও বেশ এগিয়েছে দেশটি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১২টি অ্যাকাডেমিক অ্যাওয়ার্ড পাওয়া চলচ্চিত্র ‘লাইফ অফ পাই’ ছবির এনিমেশনের কাজ হয়েছে মালয়েশিয়ায়।

কয়েকদিন আগেই পেনাং-এ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইন্টেলের মিনি মেকার মেলা। ক্ষুদ্র পরিসরে আয়োজিত এ মেলায় প্রযুক্তিপ্রেমীরা তাদের পরিকল্পনা এবং আবিষ্কারের কাহিনী তুলে ধরেন। ইন্টেল, গুগল, মোজিলা, ইয়াহু, সিসকো’র মত বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেয় মেলায়।

এছাড়া প্রতিবছর ডেল, তোশিবা, ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল, প্যানাসনিক, ক্যানন’র মত বড় বড় আইটি কোম্পানিগুলো ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ করে দেয় দেশি বিদেশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউরোপিয়ানদের পর ভারতীয়রা বেশ নাম করেছে। দক্ষকর্মী নিয়োগকারী এজেন্সিগুলো ভারতীয় এবং ইউরোপিয়ানদের দখলে থাকায় এখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আধিপত্য নেই বললেই চলে।

তবে আশার কথা হলো এই, বাংলাদেশ থেকে যদি এমন কোনো সুযোগ আসে তাহলে, অবশ্যই তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে মালয়েশিয়ার জাতীয় আইটি করপোরেশন।

কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল এলাকায় গড়ে উঠেছে টেকনোলজি পার্ক। এছাড়া সাইবার শহর সাইবেরিয়া তো রয়েছেই। প্রতি মাসেই বাছাইয়ের মাধ্যমে যোগ দিচ্ছে প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ-তরুণীরা।

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় চল্লিশটি দেশের প্রায় পাঁচ হাজার কোম্পানি কাজ করছে। মালয়েশিয়ার আইটি ক্ষেত্রে যার প্রভাব উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ এখন বহির্বিশ্বে ফ্রি-ল্যান্সিং’র দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধার ঘাটতি নেই, তা আমরা সবাই জানি। যদি একটি সুপরিকল্পনা এবং সুন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশি মেধাবী প্রযুক্তিপ্রেমীদের বিদেশে বিনিয়োগ করা যায়, তাহলে অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীরাও দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ