ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মালয়েশিয়া

লাল-সবুজ পতাকায় সেজেছে কুয়ালালামপুর

বিশেষ সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৪
লাল-সবুজ পতাকায় সেজেছে কুয়ালালামপুর ছবি: সংগৃহীত

হোটেল গ্র্যান্ড হায়াত (কুয়ালালামপুর) থেকে: কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে বের হলেই মনোরম সৌন্দর্যের শহরটি চোখে পড়বে। আর সেই সৌন্দর্যের মাঝে এখন চোখে পড়বে লাল-সবুজের পতাকা।

মালয়েশিয়া আর বাংলাদেশের পতাকায় সেজেছে কুয়ালালামপুর।  

কুয়ালালাপুর আপন করে নিয়েছে বাংলাদেশকে। মর্যাদার আসনে বসিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। মঙ্গলবার বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের বিজি ০৮৬ ভিভিআইপি ফ্লাইটটি অবতরণ করে স্থানীয় সময় ঠিক ৩টা ৫৫ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রী পান লালগালিচা সংবর্ধনা। স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-মন্ত্রী হাজি ইসমাইল হাজি আবদুল মুত্তালিব ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার একেএম আতিকুর রহমান।

এরপর বিশেষ মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে। পথে বাংলাদেশ আর মালয়েশিয়ার পতাকা সজ্জিত সড়কের দুই পাশ।

গ্র্যান্ড হায়াতে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকের উপস্থিতি দেখা যায়।

এই কমিউনিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে হোটেলের বলরুমে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই অগ্রসরমান দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য, বন্ধুত্ব আর শ্রমসম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হবে এই সফরে। সফরে আংশিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষর হবে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে।
 
সফরে প্রধানমন্ত্রী দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। পুত্রজায়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রূদ্ধদ্বার আলোচনা ছাড়াও দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক হবে। তিনি অংশ নেবেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সুযোগ সম্পর্কিত সংলাপে। পুত্রজায়ায় তার সম্মানে থাকবে মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজ। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদসহ একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল, বিশিষ্ট সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলনসহ কয়েকজন সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
 
বুধবার সফরের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু হবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সুবিধা বিষয়ক সংলাপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এই সংলাপে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতের বলরুমে অনুষ্ঠেয় এই সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন মালয় সাউথ-সাউথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আজমান হাশিম। মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিয়ে মতবিনিময় করবেন। সমাপনী বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার আতিকুর রহমান।
 
সংলাপ পরবর্তী মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেওয়ার পর দুপুর আড়াইটার দিকে পুত্রজায়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা তিনটা নাগাদ সেখানে পারদানা স্কয়ারে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছার কথা রয়েছে তার। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন সরকারি অনুষ্ঠানাদি আয়োজনের প্রধান ওসমান মাহমুদ। স্যালুটিং ডায়াসে শুভেচ্ছা বিনিময় হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ নাজিবতুন আবদুল রাজাকের সঙ্গে।
 
এরপরপরই রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান। এতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার পর দুই নেতা গার্ড অব অনার পরিদর্শন করবেন। দুই দেশের অভ্যর্থনা সারিতে দাঁড়ানো প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিচয়, কূটনীতিক কোরের সঙ্গে পরিচয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই অনুষ্ঠান। এর পরপরই ছবি তোলার জন্য দাঁড়াবেন দুই নেতা। আর সবশেষে ভিজিটরস বুকে স্বাক্ষর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
দুই প্রধানমন্ত্রীর রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে। বৈঠক শেষে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে তারা যাবেন পারদানা মিটিং রুমে। সেখানে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
 
এর পরপরই কুয়ালালামপুরে আবাসিক হোটেলে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্রাম শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ফের পুত্রজায়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা। রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সেরি পারদানায় নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। প্রোটোকল রুমে এই আনুষ্ঠানিক নৈশভোজের পর রাত সাড়ে ৯টায় ফের আবাসস্থল হোটেলে গ্র্যান্ড হায়াতে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
 
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন মালয়েশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহজইনুদ্দিন, মানবসম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী হাজি ইসমাইল হাজি আবদুল মুত্তালিব ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার একেএম আতিকুর রহমান।
 
বাংলাদেশ সময় বেলা ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৪
** বাংলাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসন বানাবে মালয়েশিয়া
** মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
** মালয়েশিয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী
** পুত্রজায়ায় হাসিনা-রাজাক বৈঠক বুধবার
** ভাড়াবিহীন বাসে ওয়াইফাই ও এসি!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ