মালয়েশিয়া থেকে: কুয়ালালামপুরের সড়ক ধরে হেঁটে যেতেই চোখে পড়ে যেতে পারে মালয়েশিয়ার সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের ভবন। তবে ভবনটি এখন আর নতুন নেই, বেশ পুরাতন হয়েছে।
বর্তমানে কুয়ালালামপুরে মন্ত্রণালয়ের পরিত্যক্ত ভবনটি তৈরি করা হচ্ছে পর্যটকদের দর্শণীয় স্থান হিসেবে।
শুধু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ই নয় ভবনটি থেকে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে মালয়েশিয়া টেক্সটাইল মন্ত্রণালয়ের পুরনো ভবন। তবে সাজসজ্জা করে ভবনটি তৈরি করা হচ্ছে টেক্সটাইল জাদুঘর হিসেবে।
দেশটির অন্য প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের প্রধান কার্যালয়ও কুয়ালালামপুর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পুত্রজায়ায়।
এদিকে, প্রধান কার্যালয়গুলো পুত্রজায়ায় সরিয়ে নেওয়ার পর মালয়েশিয়া সরকার সিদ্ধান্ত নেয় আগের ভবনগুলো দর্শনার্থীদের উপযোগী করে গড়ে তোলার। বর্তমানে তারই কাজ চলছে।
একইসঙ্গে পুরো এলাকা পর্যটক আকর্ষণেও সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়।
রাজধানী কুয়ালালামপুরেও ওপর চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে ১৯৯৯ সালে দেশটির সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও গুরুত্বপূর্ণ দফতরের কার্যালয় পুত্রজায়ায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
পুত্রজায়া মডেল সিটি হিসেবে পুরো বিশ্বে স্বীকৃত। তবে বাঙালিদের কাছে স্থানটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ যেসব শ্রমিকের ঘামে এ পুত্রজায়া তৈরি হয়েছে তার বেশিরভাগই বাংলাদেশি। অনুমান করা হয়, পুত্রজায়া সিটি গড়তে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৬
ইউএম/জেডএস