সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ১২২ নম্বর খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নামে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাকে কেন চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না সেটি জানতে চেয়ে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩(খ) ও (ঘ) উপবিধি অনুযায়ী মো. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অসদাচারণ ও দুর্নীতির দায়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) উপবিধি অনুযায়ী তাকে চাকুরি থেকে কেন বরখাস্ত করা হবে না সেটি জানতে চেয়ে লিখিত বক্তব্য চাওয়া হয়েছে।
নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসা, দেরি করে আসা, স্থানীয় বাসিন্দাদের জেলে (মৎস্যজীবী) কার্ড করিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায়, দপ্তরী নিয়োগের প্রতিশ্রুতিতে টাকা নেওয়া, অভিভাবকদের পরামর্শ ও সহযোগিতার তোয়াক্কা না করে নিজ ইচ্ছায় তিনজন প্যারা শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে নিজে স্কুলে অনুপস্থিত থাকা, বিদ্যালয়ের রেকর্ডে ভুয়া শিক্ষার্থী দেখানো, ম্যানেজিং কমিটি গঠন না করে অ্যাডহক কমিটি দিয়ে স্কুল পরিচালনা, অফিসিয়াল ছবির পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুর নাজুক ছবি টাঙিয়ে রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বাংলানিউজে ‘খোলপেটুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন না প্রধান শিক্ষক’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার করা হয়েছিল। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পরে কলারোয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এইচ এম রোকনুজ্জামানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
ওই কমিটির সদস্যরা গত ১৪ নভেম্বর সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসদাচারণের সত্যতা পান। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী আলোচিত ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
এফআর