ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নিয়োগে তথ্য জালিয়াতির অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নিয়োগে তথ্য জালিয়াতির অভিযোগ

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ৪টি পদে ৮০ জন লোক নিয়োগের পরীক্ষায় তথ্য জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এ দপ্তরটি।


 
জালিয়াতির অভিযোগ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল, রিচি, চুনারুঘাটের মিরাশী ইউনিয়ন ও নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নে নিয়োগের ক্ষেত্রে।
 
জানা গেছে, গত বছরের ১৩ আগস্ট জেলার ৭৮টি ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও আয়ার পদে ৮০ জন লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, হবিগঞ্জ। পদগুলোর বিপরীতে নিয়োগপ্রত্যাশী ৮ হাজার ৬৪২ জন আবেদন করলেও পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৪ হাজার ৫৯৫ জন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে গত ৩০ নভেম্বর ৭৯ জনকে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
 
এরপর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ও রিচি ইউনিয়ন এবং চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নে নিয়োগের জন্য মনোনীত তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়াতি অর্থাৎ ঠিকানা পরিবর্তন করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অভিযোগ ওঠে।
 
অভিযোগকারীদের দাবি, নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী নিয়োগপ্রত্যাশীরা যে এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা সেই এলাকায় চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু ওই তিনটি এলাকার জন্য মনোনীত হওয়া লোকজন এক এলাকার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও অন্য আরেকটি এলাকায় নিয়োগের জন্য মনোনীত হয়েছেন। নিয়োগগুলো বাতিল করা হোক বলে দাবি তাদের।
 
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য খাদিজা আক্তার জানান, রিচি ইউনিয়নে চূড়ান্তভাবে মনোনীত ব্যক্তি এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে আবেদন জানিয়েছেন।
 
এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে নবীগঞ্জ উপজেলার দাসের কোনা, দেবপাড়া, ভাড়াকোনা ও বাঁশডর গ্রাম থেকে লোক নিয়োগের কথা উল্লেখ থাকলেও এই এলাকাগুলোর জন্য মনোনীত করা হয় পাশের গ্রামের একজনকে। অথচ এ চারটি গ্রাম থেকে চারজন মৌখিক পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছিলেন। ফলে তাদের দাবি শর্ত ভঙ্গ করে এই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তাঁরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
 
যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক মীর সাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘নিয়োগের জন্য নির্বাচিত কয়েকজনের বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়াতির অভিযোগ পেয়েছি। নির্দিষ্ট করে কয়জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে, খতিয়ে দেখে নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।