ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৭০ পুকুর ভরাট করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্যোগ, গ্রামবাসীর প্রতিবাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
৭০ পুকুর ভরাট করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্যোগ, গ্রামবাসীর প্রতিবাদ

বরগুনা: সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামে দুই শতাধিক পরিবারকে জিম্মি করে ৭০টি পুকুর, সবুজ বন, মসজিদ, মাদ্রাসা উচ্ছেদ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পে উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে দুই শতাধিক পরিবার খাজুরতলা গ্রামে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।

বক্তারা বলেন, শত শত বছর বসবাসকারীদের বসতবাড়ির লোকজনের ব্যবহৃত ৬০-৭০টি মিঠা পানির পুকুর ভরাট করে, কোটি টাকার সবুজ বন ধ্বংস করে, মসজিদ-মাদ্রাসা উচ্ছেদ করে আশ্রয়ণ প্রকল্প করা হলে পরিবেশের বিপর্যয় হবে। এই উদ্যোগ আমরা মানতে পারি না।

এলাকাটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ৮ নং খাজুরতলা মৌজায় রেকর্ডকৃত সম্পত্তিতে বসতবাড়ির লোকজনের ব্যবহৃত মিঠা পানির পুকুর, বন, মসজিদ-মাদ্রাসা ও কবরস্থানজুড়ে খাসজমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প করার উদ্দেশ্যে লাল নিশান পুঁতে দেওয়া হয়েছে। ৭০টি পুকুর ভরাটসহ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন গাছ কেটে পরিবেশের বিপর্যয়ের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামবাসী।

ভূমি অফিস থেকে ওই মৌজার পূর্ব দিকে রাস্তার দক্ষিণ পাশে আশ্রয়ণ প্রকল্প করার মতো পর্যাপ্ত উঁচু খাস জমিও রয়েছে। সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্প করা হলে সরকারের আর্থিক ব্যয়ও কম হবে বলে জানান এলাকাবাসী।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হিরণ মাতুব্বর, সাদিক খান, ইরাণী বেগম, বাচ্চু জমাদ্দার, সৌমিত্র ডিগেল প্রমুখ।

বরগুনা সদর উপজেলার প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, আমরা দুটি স্থান নির্ধারণ করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে দেখে আশ্রয়ণের জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করবেন।

এ বিষয়ে জানতে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাওছার হোসেনের  মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।