রংপুর: প্রেম করে পালিয়ে বিয়ের সাত মাসের মাথায় রুহি আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামীর দাবি, আত্মহত্যা করেছে তার স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুরের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।
নিহত রুহি আক্তার উপজেলার সারাই ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্ৰামের ইউনুছ আলীর মেয়ে এবং রামচন্দ্রপুর গ্ৰামের পারভেজ আলমের স্ত্রী।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে স্বামী পারভেজ আলমের বাড়ির শয়নকক্ষে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রুহি আক্তারের পরিবারের অভিযোগ, হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচারণা চালিয়েছে স্বামী ও তার পরিবার।
এমন অভিযোগ করে নিহতের মা জয়গুন জানান, তার একমাত্র মেয়ে রুহি আক্তার চলতি বছর স্থানীয় রাসুলপুর মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিতো। সাত মাস আগে তার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে পারভেজ।
তিনি বলেন, প্রায় চার মাস আগে তারা বাড়িতে আসে। এরমধ্যে মেয়ের সঙ্গে তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। গত শুক্রবার মেয়ে মোবাইলে কান্না করে আমাকে জানায়, তোমরা আমাদের বিয়ে-বিদায়ের ব্যবস্থা করো। এরা আমাকে সবসময় খোটা দেয়। আমি আর সহ্য করতে পারছিনা- এই বলে মোবাইল কেটে দেয়। এরপর আর কথা হয় নাই মেয়ের সঙ্গে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিহতের স্বামী পারভেজ আলম জানান, সোমবার সকাল ৯টায় তিনি দোকানে যান এবং তার বাবা-মা কাজে বাইরে যায়। বেলা ১১টায় বাড়িতে কেউ না থাকায় তার স্ত্রী ঘরে আত্মহত্যা করেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে সোমবার রাত ৮টার দিকে পারভেজ আলমের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
এআইজে/এনএস